এক দশকেরও বেশি সময় পর বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিতে বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় পৌঁছেছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ নিয়ে আলোচনা হবে।
এদিকে দীর্ঘ সময় পর দুই দেশের মধ্যে এমন আলোচনাকে ইতিবাচক অবস্থান থেকে দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে দুই দেশকেই মনোযোগী হতে হবে। এছাড়া আলোচনায় একাত্তরের অমীমাংসিত বিষয়গুলোও আসতে পারে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক শাহাব এনাম বলেন, পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফর দেশের জন্য ইতিবাচক। অর্থনীতিকে যেহেতু আমরা গতিশীল করতে চাচ্ছি, তাই এই আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধসহ তাদের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়েও কথা বলা দরকার।
এছাড়া সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়েও আলোচনা হতে পারে। এতে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। পাশাপাশি আমদানি-রফতানি নিয়েও আলোচনা করতে হবে। বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা আছে পাকিস্তানে।
তবে তৃতীয় কোনো দেশের বিষয় মাথায় না রেখে আলোচনা হওয়া উচিত বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।
তিনি বলেন, তৃতীয় কোনো দেশের কথা মাথায় রেখে যেন বাংলাদেশ-পাকিস্তান বৈঠকে না বসে। তৃতীয় দেশের কথা ভেবে আলোচনায় বসলে তা দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে না। আলোচনায় বসতে হবে বাংলাদেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় রেখে।
এদিকে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার চলতি মাসের শেষের দিকে ঢাকা সফর করবেন বলে জানা গেছে। ২০১২ সালের পর বাংলাদেশে এটি হবে কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর।




