রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য এবং বিভিন্ন জায়গায় ঝটিকা মিছিলে অংশ নেয়া আওয়ামী লীগের আরও ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
গ্রেফতার নেতারা হলেন: যুবলীগের সহ-সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তোফায়েল (৪৬), ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মো. ফয়সাল হোসেন রকি (১৯), হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন মিয়াজী (৬৩), বংশাল থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. চাঁন মিয়া (৬০), উত্তরখান থানা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়দেব চন্দ্র দাস (৫০), উত্তরখান থানা আওয়ামী লীগের সক্রীয় কর্মী মো. শিপন সরকার (৩৩), ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মো. আবু হানিফ (৪৫), সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হক (৫১), যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো. তাওহিদুল ইসলাম (২৯) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রবিন শিকদার (৩০)।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাত ৮টায় সূত্রাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তোফাজ্জল হোসেন তোফায়েলকে গ্রেফতার করা হয়। একই সময়ে কাফরুল থানা এলাকা থেকে মো. ফয়সাল হোসেন রকিকে গ্রেফতার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগের একটি টিম।
ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় মতিঝিল থানা এলাকা থেকে হেলাল উদ্দিন মিয়াজীকে গ্ৰেফতার করে গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগের একটি টিম এবং রাত ৯টায় বংশাল থানা এলাকা থেকে মো. চাঁন মিয়াকে গ্রেফতার করে ডিবি-লালবাগ বিভাগ।
এছাড়া রাত সাড়ে ৮টায় উত্তরখান এলাকা থেকে জয়দেব চন্দ্র দাসকে এবং রাত ১০টায় মো. শিপন সরকারকে ডিবি-উত্তরা বিভাগের পৃথক টিম গ্রেফতার করে।
ডিবি সূত্র আরও জানায়, একই দিন রাত ৯টায় ভাষানটেক থানা এলাকা থেকে মো. আবু হানিফকে গ্রেফতার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগের একটি টিম এবং রাত সাড়ে ১১টায় মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে নূরে আলম সিদ্দিকী হককে গ্রেফতার করে ডিবি-মতিঝিল বিভাগের টিম।
অন্যদিকে রাত সাড়ে ১১টায় যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকা থেকে মো. তাওহিদুল ইসলামকে এবং রাত আনুমানিক ১১টা ৫৫ মিনিটে কাজলা ব্রিজ এলাকা থেকে রবিন শিকদারকে গ্রেফতার করে ডিবি-ওয়ারী বিভাগের পৃথক টিম।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গ্রেফতার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতারা রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তারা নানাভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।