নগর ভবনে ইশরাক সমর্থকদের বিক্ষোভ চলছেই

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তার সমর্থকরা।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঝরা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা বেলা ১১টার পর থেকে নগর ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

ঢাকাবাসী ব্যানারে দুই সপ্তাহ ধরে চলে আসা এ কর্মসূচিতে ইশরাকের সমর্থকদের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরাও যুক্ত আছেন।

নগর ভবনের ভেতরের ফটকে অবস্থান নেওয়ায় এবং ভবনের সব ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ রয়েছে।

এ সময় ‘আসিফের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা, মানি না, মানব না’, ‘দাবি মোদের একটাই, মেয়র ছাড়া অফিস নাই’ ‘এক দুই তিন চার, আসিফ তুই স্বৈরাচার’ এমন নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়।

নগর ভবনে ইশরাক হোসেনের আসার খবরে নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। বেলা ১২টার পর বৃষ্টি কিছুটা কমলে সেই জমায়েত আরও বেড়ে যায়।

আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক সাবেক সচিব মশিউর রহমান বলেন, “শপথ নিয়ে টালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না। জনতার মেয়র ইশরাক হোসেনকে জনতার দায়িত্ব নিতে দিতে হবে।

“এর বিকল্প হলে ঢাকাবাসী কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই জনতার মেয়র ইশরাক হোসেন নগর ভবনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেবেন।”

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির সবশেষ নির্বাচন হয়। তাতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস।

ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গেল ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে।

এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয় সেজন্য গত ১৪ মে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ।

অন্যদিকে ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে ওইদিনই আন্দোলন শুরু করেন তার সমর্থকরা। তাদের আন্দোলনে দুই সপ্তাহ ধরে কার্যত অচল হয়ে আছে নগর ভবন।

আইনি জটিলতার কথা বলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এখনো ইশরাককে শপথ পড়ানোর আয়োজন করেনি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগ দাবি করেন ইশরাক।

হাই কোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সোমবার আপিল বিভাগে আবেদন করেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী মামুনুর রশিদ। আবেদনে হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চাওয়া হয়।

Scroll to Top