প্রস্তুত হচ্ছে রাজধানীর পশুর হাটগুলো, কী প্রতিক্রিয়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের?

পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে রাজধানীতে জমতে শুরু করেছে পশুর হাটগুলো।

ঢাকার একমাত্র স্থায়ী হাট গাবতলীতে পশু রাখার জায়গাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গাবতলী হাটে ট্রাকে করে আসছে পশু।

শুক্রবার (৩০ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে বাঁশ, ত্রিপল দিয়ে অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করা হলেও তাতে তোলা হয়নি কোনবানির পশু।

তবে উত্তরার দিয়াবাড়ি পশুর হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আনা হয়েছে কোরবানির পশু। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে বেচাবিক্রি না থাকলেও আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই জমে উঠবে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা।

ঢাকায় গরু বেচাকেনা শুরু হয় সাধারণত ঈদের দুই থেকে তিন দিন আগে। কারণ জায়গার অভাব। তবে যাদের নিজের বাড়ি আছে তারা গরু দেখছেন, হয়তো আগেভাগেই কোরবানির পশু কিনতে চান তারা।

পশু বিক্রেতা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকটি গরু ও ছাগল নিয়ে এসেছি। বৃষ্টির কারণে বিক্রি হচ্ছে না। তবে বৃষ্টি থেমে গেলে হাট জমে উঠবে বলে আশা করছি।’

জানা যায়, কোরবানির হাটে এবার এক লাখ ২০ হাজার টাকা দামের গরু থেকে আড়াই লাখ টাকার গরুর সংখ্যাই বেশি। তবে এখনো পর্যন্ত দিয়াবাড়ি হাটে উঠা সবচেয়ে বড় গরুর দাম ৯ লাখ টাকা।

ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এবার পশুর দাম কিছুটা বেশি। আর বিক্রেতারা বলছেন, গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে বাড়তি এবার পশুর দামও।

ক্রেতা মামুন শেখ বলেন, ‘গত বছর এক লাখ ৩০ হাজার টাকায় গরু কিনেছি। এ বছর ওই সাইজের গরু এক লাখ ৭০ বা ৮০ হাজারের কমে পাচ্ছি না।’

ঢাকার ২ সিটি করপোরেশন এলাকায় এবার মোট হাট বসেছে ১৯টি। প্রতিটি পশুর হাসিল ধার্য করা হয়েছে পশুর দামের শতকরা ৫ টাকা।

Scroll to Top