পিরোজপুরে ইয়াবা চুরির অপবাদে চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে নির্যাতন!

চুরির অপবাদে পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে এক কিশোরকে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল পশ্চিম বালিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আজ রবিবার সকালে সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানায়, পশ্চিম বালিপাড়া গ্রামের মনোয়ার শেখের ছেলে মাসুম শেখকে (১৪) টাকা চুরির মিথ্যা অপবাদে নির্যাতন করা হয়। একই গ্রামের মহিলা ইউপি সদস্য মোসা. লাকি বেগম, তার স্বামী আনোয়ার হোসেন স্থানীয় ফয়সালসহ তাদের সহযোগীদের নিয়ে রাতভর কিশোরকে নির্যাতন করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ওদের কাছ থেকে ছেলেকে উদ্ধার করেন তার মা। কারো কাছে বিচার দিলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই কিশোরের মা মনোয়ারা বেগম।

নির্যাতনের শিকার মাসুম শেখ বলেন, আমি অনেকদিন ধরে লাকি মেম্বারের বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করি। শুক্রবার ফয়সাল আমাকে লাকি মেম্বারের বাড়ি থেকে ৩৮০ পিচ ইয়াবা নিয়ে আসতে বলে। আমি ইয়াবা ফয়সালের কাছে এনে দিলে বিক্রি করার পরে বাকিগুলো আমাকে আনোয়ারের দোকানের পিছনে রাখতে বললে আমি রেখে আসি। পরে সেখানে ওই ইয়াবা না পাওয়ার কারণে আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে আমার চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে শরিরের বিভিন্ন স্থানে রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আঘাত করেন।

অভিযুক্ত লাকি মেম্বার বলেন, একটি জমি রেজিস্ট্রি বাবদ ৫০ হাজার টাকা চুরি করায় জিজ্ঞাসাবাদ করা জন্য মাসুমকে বাড়িতে ডেকে আনা হয়। টাকা উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেওয়া হয়।

বালিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন বয়াতি বলেন, ফয়সালসহ তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও জুয়ার ব্যবসার সাথে জড়িত। মাসুমকে তারা ৩৮০ পিচ ইয়াবা দোকানের পিছনে রাখতে দিয়েছে। সেই ইয়াবা হারিয়ে যাওয়ায় চুরি অপবাদ দিয়ে তার উপর নির্যাতন করা হয়েছে।

ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলার বালিপাড়া এলাকায় কিশোর নির্যাতনের শিকার বিষয়টি আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সহকারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।