ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক সাইফুল আলমের বাসা থেকে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া ৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় জড়িয়েছেন এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমাম।
রোববার (২ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের নেতৃত্বে ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালকের ক্যান্টনমেন্টের বাসায় অভিযান চালানো হয়।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, তার (সাইফুল আলম) বিরুদ্ধে দুদকে একটি অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ক্যান্টনমেন্টে তার বাসা থেকে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। যা জব্দ করা হয়েছে। অনুসন্ধান কর্মকর্তা, যৌথ বাহিনীর উপস্থিতিতে টাকা জব্দ করা হয়। সেই টাকা আদালতে দাখিল করা হবে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলমকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছিল। এর আগে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট ছিলেন। এ ছাড়া তিনি সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক এবং ১১ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত ১১ সেপ্টেম্বরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সেনাবাহিনী।
এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী লুবনা আফরোজের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে তাদের সন্তান ও মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
এদিকে ৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সস্পদ অর্জনের অভিযোগে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে তানভির ইমাম ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পৃথক ৩টি মামলা করো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক মহাপরিচালক।
আর নিয়োগ জালিয়াতির ঘটনায় মামলা হয়েছে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি খন্দকার নাসির উদ্দিনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে।





