প্রেমের টানে ‘বিয়েপাগল প্রকৌশলী’কে বিয়ে করে বিপাকে মেডিকেল ছাত্রী!

সোহান মাহমুদ ওরফে শুভ মৃধা। পড়াশোনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি এন্ড সাইন্সেসে। সেখান থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করে প্রকৌশলী হয়েছেন। বাবা অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল।

এমন পরিচয় দিয়ে তিনি মেডিকেলের এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। একপর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাব দিলে ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরাও এক কথায় রাজি হয়ে যান। এমন পাত্র কী আর নাকচ করা যায়। ধুমধাম করে বিয়ে হলো তাদের। এরপরেই ঘটে বিপত্তি। জানা গেলে শুভ এর আগেও বিয়ে করেছেন। একটি নয় দুটি। তার সন্তানও রয়েছে। এমনকি তিনি যে প্রকৌশলী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন সেটাও ভুয়া।

তিনি মাধ্যমিকের গণ্ডিই পেরোতে পারেননি। আরও বাকি আছে পাঠক! তার বাবাও কর্নেল নন। তিনি একজন সাধারণ কৃষক। প্রতারণার বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় বিয়ের একদিনের মাথায় ওই ছাত্রী শুভকে তালাক দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা। সিরাজগঞ্জের একটি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী। অভিযুক্ত সোহান মাহমুদ ওরফে শুভ মৃধা নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাকুন্দা এলাকার আবদুল মজিদ মৃধার ছেলে।

জানা গেছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে মহাধুমধামে তাদের বিয়ে হয়। এটি শুভ মৃধার তৃতীয় বিয়ে। এর আগে প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে এক কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন শুভ। আগের দুই স্ত্রীর দুটি সন্তানও রয়েছে তার।

স্বামীর তৃতীয় বিয়ের খবরে ওই দিনই সন্তানসহ দ্বিতীয় স্ত্রী রাজশাহী এলে জানাজানি হয় শুভর প্রতারণা। পরদিনই শুভকে তালাক দেন ওই মেডিকেল ছাত্রী। প্রতারিত হয়ে ওই দিনই তার বাবা নগরীর রাজপাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।

ওই মেডিকেল ছাত্রীর বাবার ভাষ্য, মেয়েটাকে শুভ প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল। মেয়েটা বড় হয়েছে বলে তার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলাম। শুভ বলেছিল, তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল। তবে সম্পর্ক নেই। ঠিকানা দেয়া হয়েছিল নাটোর সদরের। ভেবেছিলাম মেয়ে ডাক্তার হচ্ছে, ছেলে ইঞ্জিনিয়ার, তারা ভালো থাকবে। কিন্তু সবই মিথ্যা। ও একটা বড় প্রতারক।

তবে শুভর বাবা আবদুল মজিদ মৃধার দাবি, তার ছেলে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার। তবে তিনি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল নন, তিনি একজন সাধারণ কৃষক। তিনি বলেন, সবগুলো বিয়ে শুভ একা একা করেছে। আর তৃতীয় বিয়ের কথা তিনি জানতেন না।