হেফাজত কারাবন্দী নেতাদের মুক্তির আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, দাবি জুনায়েদ বাবুনগরীর

হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, তার দলের কারাবন্দী নেতাদের মুক্তির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। গতকাল সোমবার ( ৫ জুলাই) সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে দেখা করেন।

আজ মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বাবুনগরী খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদরাসায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে একথা জানান। তিনি বলেন, \”বৈঠকে আমরা আলেম-উলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ এবং কওমি মাদরাসা খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছি।\”

বাবুনগরী মনে করেন, \”আমাদের দাবিগুলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেনে নেয়ার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করছি সরকার দ্রুত আমাদের দাবি মেনে আলেম-উলামাদের মুক্তি দেবেন।\”

সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হেফাজতের নেতারা কালো রংয়ের একটি প্রাইভেটকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় পৌঁছান। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ২ ঘণ্টা বৈঠক করলেও গণমাধ্যমের সামনে কোনো কথা বলেননি হেফাজতের নেতারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গতকাল সোমবারই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন জুনায়েদ বাবুনগরী। তার সঙ্গে ছিলেন মাওলানা নুরুল ইসলাম, খাদেম মো. সুফী ও খাদেম নাঈম জুনাইয়েদ।

খিলগাঁওয়ের ঐ বৈঠকে বাবুনগরী দাবি করেন, সারাদেশে বহু নিরীহ আলেম-ওলামাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারাগারে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বৈঠকে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিষয়গুলো তুলে ধরেছি। আমরা জানিয়েছি, হেফাজতের বিরুদ্ধে কথিত যে সহিংসতার অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। হেফাজতের কোনও নেতাকর্মী সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত ছিল না। কিছু দুষ্কৃতকারী হেফাজতের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছে। তাদের খুঁজে বের করা দরকার। নিরীহ আলেম-ওলামাদের এসবের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম, সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল আওয়াল, প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী ও মাওলানা জহুরুল ইসলাম। গেল মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংস ঘটনার পর হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় সরকার। সংগঠনের প্রায় অর্ধশত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হেফাজতের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর গ্রেপ্তার নেতাদের বাদ দিয়ে হেফাজতের নতুন কমিটি গঠন করা হয়।