দেবরের ‘বউ’ সেজে ধরা খেলো ভাবী

বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলিশ নিয়ে ছুটে যান কনের বাড়িতে। তার আগেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে কনেকে নিয়ে চম্পট বরপক্ষ। পরে পুলিশ গাড়িসহ বরযাত্রীদের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে আসে। এসময় দেবরকে বাঁচাতে নিজেকে বরের ‘বউ’ পরিচয় দেন ভাবী। পরে অবশ্য ভাবীর চালাকি ধরা পড়ে যায় ইউএনওর কাছে।

সোমবার রাতে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, এদিন সন্ধ্যায় উপজেলার হরিণমারী সরকার পাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে রুমা বেগমের সঙ্গে বড়গোছিয়া গ্রামের জয়েন উদ্দীনের ছেলে জমির আলীর বিয়ে হয়। বর-কনে নাবালক এমন অভিযোগে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ. মান্নান পুলিশ নিয়ে কনের বাড়িতে রওনা হন। তার আগেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বরযাত্রী তিনটি মাইক্রোবাস যোগে নতুন বউকে নিয়ে চলে যায়। পথে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বর নববধূকে ফেলে অন্য একটি মাইক্রোবাসে চম্পট দেয়। পরে পুলিশ বরযাত্রীসহ দুটি মাইক্রোবাস নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসে। এসময় বরপক্ষের লোকজন ধরা পড়ার ভয়ে নববধূকে গাড়িতে রেখে বরের ভাবী বন্যা নামের এক গৃহবধূকে কনে হিসেবে পরিচয় করে দেয়। কিন্তু কথাবার্তায় ধরা পড়ে যান বরের ভাবী। দেবরকে বাঁচাতে অন্যদের পরামর্শে নিজে কনে সাজার কথা স্বীকার করেন বন্যা।

পরে উভয়পক্ষের ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বিয়ে আয়োজনকারীদের সতর্ক করে এবং মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বড়পলাশবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের জিম্মায় বরপক্ষকে ও আমজানখোর ইউপি চেয়ারম্যান আকালুর জিম্মায় কনে পক্ষকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী অপিসার আব্দুল মান্নান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, ০৩ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসডিএম