কুমিল্লায় কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ, আত্মগোপনে ধর্ষক

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় এক কিশোরীকে দুইদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষকের সহযোগী ইমাম হোসেন ইমনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক নুর মোহাম্মদ বাবলু আত্মগোপনে রয়েছেন।

অপহৃতার পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের বড় কাঁছি গ্রামের মৃত হাবিবুল্লাহর ছেলে নুর মোহাম্মদ বাবলু ইতালি প্রবাসী। প্রবাসে থাকাকালীন ইমন নিজের বিয়ের বিষয় গোপন রেখে একই ইউনিয়নের বিপুলাসার এলাকার জনৈক কিশোরীর সাথে মোবাইল ফোনে প্রায়ই যোগাযোগ করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে ইমন বেশকিছু দিন ধরে দেশে অবস্থান করছে। এ সুযোগে ৩ জুলাই বিকেলে ওই কিশোরীকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সোনাইমুড়ি উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের কৈইয়া গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে ইমাম হোসেন ইমনের সোনাইমুড়ি সিটি সেন্টার মার্কেট সংলগ্ন ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই কিশোরীকে দুইদিন আটকে রেখে বাবলু একাধিকবার ধর্ষণ করে।

গত ৫ জুলাই ধর্ষক নুর মোহাম্মদ বাবলু ওই কিশোরীকে সেনবাগ উপজেলার নাজিরহাট তার নানার বাড়ির পাশে রেখে যায়। ওই কিশোরী তার নানার বাড়ি গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। সংবাদ পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিক সেখানে ছুটে যায়। এ সময় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।

সোমবার (১৩ জুলাই) ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহাবুবুল কবির অভিযান চালিয়ে ধর্ষকের সহযোগী ইমাম হোসেন ইমনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে ধর্ষক নুর মোহাম্মদ বাবলু আত্মগোপনে রয়েছে। সে ইতালি পালিয়ে যেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে ওই কিশোরীর স্বজনদের অভিযোগ। তারা ধর্ষক বাবলুকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ বাবলুকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।