শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে উপকূলীয় জনপদ। ভোর থেকে শুরু হওয়া কুয়াশা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝরছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় অনেক স্থানে দৃশ্যমানতা নেমে এসেছে ৫০ মিটারেরও নিচে। বেলা বাড়লেও সূর্যের কোনো দেখা মেলেনি।
ঘন কুয়াশা ও শিশিরে ভিজে পিচ্ছিল হয়ে পড়েছে সড়ক ও মহাসড়কগুলো। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় দিনভর যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল আর থ্রি-হুইলার চালকদের পড়তে হচ্ছে বাড়তি বিপাকে। কুয়াশার কারণে নৌপথেও ধীরগতিতে চলাচল করছে ট্রলার ও নৌযান।
শনিবার সকাল ৯টায় খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিসে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন ১২.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চল থেকে বয়ে আসা শীতল বাতাসের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
প্রচণ্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনমজুর, কৃষক, জেলে ও শ্রমজীবী মানুষ। কুয়াশার কারণে সকাল থেকে কাজে বের হতে দেরি হচ্ছে অনেকের। মাঠে কাজ করা কৃষকরা জানান, শীত ও কুয়াশার কারণে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শীতকালীন সবজি ও বোরো বীজতলার ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে তারা উদ্বিগ্ন।
এদিকে, উপকূলীয় এলাকায় শীত নিবারণে অনেক মানুষ খড়, কাঠ ও পুরোনো কাপড় জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। শীতবস্ত্রের অভাবে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, টাইফয়েড ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে শিশু ও বয়স্ক রোগীর চাপ বেড়েছে।







