দেশে সেঞ্চুরির পথে পিয়াজ

দেশের বাজারে গত দুই-তিন সপ্তাহ ধরে পিয়াজের দাম কয়েক দফা বেড়েই চলেছে। এর মধ্যেই বাংলাদেশে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারত। ফলে সোমবার দেশের তিনটি প্রধান স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোনো পিয়াজ আসেনি।

এদিকে পিয়াজ আমদানি বন্ধের খবরে বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে একদিনের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ দাম বেড়ে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা।

আমদানি বন্ধের খবরে রাজধানীসহ দেশের বাজারগুলোয় ক্রেতারা পিয়াজ কিনতে ভিড় জমায় আর খুচরা বিক্রেতারা ছোটেন পাইকারি বাজারে। এই হুলুস্থুল পরিস্থিতিতে বিক্রেতারা পিয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পিয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। আমদানি করা ভারতের পিয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। অথচ গতকাল দেশি পিয়াজের কেজি ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং আমদানি করা পিয়াজের কেজি ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করেই পাইকারি বাজারে পিয়াজের দাম বেড়ে গেছে। গতকাল পাইকারিতে যে দেশি পিয়াজের কেজি ৫০ টাকা ছিল তা আজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা হয়ে গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি বন্ধের খবর সত্যি হলে পিয়াজের দাম আরো বাড়বে। এদিকে পিয়াজের বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়লে অনেক বিক্রেতা পিয়াজ বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। ফলে পিয়াজ কিনতে গিয়ে অনেক ক্রেতাকে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে।

গত সপ্তাহ থেকে ভারতে পিয়াজের দাম বাড়ায় দেশের বাজারেও দাম বেড়ে ৪৫ টাকার দেশি পিয়াজ ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয় আর আমদানি করা ভারতীয় পিয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৩০ টাকা থেকে উঠে আসে ৬০ টাকায়।

মালিবাগ হাজীপাড়া বৌ-বাজারের ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, সোমবার দেশি পিয়াজের কেজি বিক্রি করেছি ৬০ টাকা। আজ পাইকারিতে দাম ৮০ টাকা। যে কারণে ৯০ টাকা কেজি পিয়াজ বিক্রি করছি।

রামপুরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা দেশি পিয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ১০০ টাকা। ভারতের আমদানি করা পিয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। একই দামে পিয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে খিলগাঁও তালতলা বাজারে।

গত বছরও ভারত হুট করে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছিল। এতে বাংলাদেশে পিয়াজের দাম বেড়েছিল হু হু করে। সেসময় খুচরা বাজারে রেকর্ড ৩০০ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি হয়েছে। এবার পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পরপরই দেশের খুচরা বাজারে দাম বাড়তে শুরু করেছে।