মাদারীপুরের কোরবানির হাট মাতাবে দীন ইসলামের ‘লালাবাবু’

মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের পশ্চিম রঘুরামপুর এলাকার সৌদি আবরফেরত দীন ইসলামের পালিত ফ্রিজিয়ান জাতের গরু লালাবাবু। লম্বায় ৯ ফুট এবং উচ্চতায় ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি, ওজন ১ হাজার কেজি। প্রতিদিন তিন বেলায় তার ২০ কেজি খাবার লাগে।

লালাবাবুকে দেখতে দীন ইসলামের বাড়িতে প্রতিদিন ভিড় করেন শরীয়তপুর, শিবচর, রাজৈর, আঙ্গারিয়াসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলার মানুষ। মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের সৌদিফেরত দীন ইসলামের পালিত গরু লালাবাবু। এ বছরে মাদারীপুরের কোরবানীর সেরা পশু বলেই ধরা হচ্ছে এ গরুটিকে। তাইতো খামারি দীন ইসলাম আদর করে গরুটির নাম রেখেছেন লালাবাবু। তার বয়স ৪ বছর।

দীন ইসলাম বলেন, “সৌদি আরবে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি ৪ বছর আগে দেশে ফিরে আসি। দেশে এসে বেকার ঘোরাফেরা করলে এলাবার বন্ধু-বান্ধব বলল, তুই ঘোরাফেরা না করে একটা গরুর ফার্ম দেই। ফার্মের এখন অনেক চাহিদা। তখন নিজ উদ্যোগে গরুর ফার্ম দিয়ে এবং মা রাহাতুন নেছার ডিপিএসের টাকা ভাঙ্গিয়ে ফ্রিজিয়ান গরু কিনে লালন-পালন করে আজ লালাবাবু হয়েছে। এই গরুর জন্য প্রতিদিনের বাজেট সাড়ে তিন হাজার টাকা। খাবারের মেনুতে রয়েছে কলা, মাল্টা, চিড়া, বেলের শরবত, ছোলা, মশুড়ি ভুসি, গমের ভুসি, খেসারির ভুসি, খেশাড়ির ডাল, চিটা গুড়, খৈল, ভুট্টা, ভাতের মাড়, নিপিয়ার ঘাস ও কুডা। নিরাপত্তার জন্য সাতক্ষীরা থেকে আনা নৈশপ্রহরী সর্বদা বাড়ির চারপাশের রাস্তায় টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, কোরবানির হাটে বা অনলাইানে বিক্রির জন্য লালাবাবু ছাড়াও সিংহরাজ এবং মনিরাজ নামে আরও দুটি গরু রয়েছে। লালাবাবুর ওজন ৮০০ কেজি এবং দাম হাকিয়েছেন প্রায় ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সিংহরাজের ওজন আনুমানিক ৭২০ কেজি অর্থাৎ ১৮ মণ, দাম হাকা হয়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর মনিরাজের ওজন ১৫ মণ, দাম হাকা হয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

লালাবাবুর মালিক দীন ইসলাম জানান, মহামারি করোনায় কোরবানির হাটে যেতে না পারলেও অনলাইনের মাধ্যমে গরুটি বিক্রি করা যাবে। দীন ইসলামের মুঠোফোন ০১৭২১৮৬৬৫৪৯। বিক্রির ব্যাপারে দাম বলার সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে বিক্রি করার জন্য সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন দীন ইসলাম।