১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারে দাম বাড়ল ২২৬ টাকা

তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজি সিলিন্ডারে দাম বাড়ানো হয়েছে ২২৬ টাকা। এলপিজির এ সিলিন্ডারের দাম সেপ্টেম্বরে ছিল ১ হাজার ৩৩ টাকা, অক্টোবরের জন্য নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৫৯ টাকা। গতকাল এলপিজির মূল্য সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এ মূল্য কার্যকর হয়েছে গতকাল থেকেই।

এলপিজির নতুন মূল্য অনুযায়ী, বেসরকারি পর্যায়ে বোতলজাত এলপিজি গ্যাসের দাম সেপ্টেম্বরের চেয়ে অক্টোবরের জন্য মূসকসহ কেজিপ্রতি ১৮ টাকা ৮৫ পয়সা বাড়িয়ে ১০৪ টাকা ৯২ পয়সা করা হয়েছে। গত মাসে কেজিপ্রতি বোতলজাত এলপিজির কেজিপ্রতি দাম ছিল ৮৬ টাকা ৭ পয়সা।

একই সঙ্গে গাড়িতে ব্যবহূত এলপিজির (যা অটোগ্যাস নামে পরিচিত) দাম ৮ টাকা ১২ পয়সা বাড়িয়ে ৫৮ টাকা ৬৮ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরে অটোগ্যাসের দাম ছিল ৫০ টাকা ৫৬ পয়সা।

এছাড়া নতুন আদেশ অনুযায়ী, বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত (রেটিকুলেটেড) এলপিজির দাম কেজিপ্রতি ১৭ টাকা ৯১ পয়সা বাড়িয়ে ১০১ টাকা ৬৮ পয়সা করা হয়েছে। আগের মাসে যা ছিল কেজিপ্রতি ৮৩ টাকা ৭৭ পয়সা।

বিইআরসি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ মূল্য ঘোষণা করেন কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য মকবুল-ই-ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু ফারুক, মো. বজলুর রহমান ও মো. কামরুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, সৌদি সিপি বা কন্ট্রাক্ট প্রাইস অনুসারে আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে প্রতি টন প্রোপেন ও বিউটেনের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে প্রতি টন ৬৬০ থেকে ৮০০ ও ৬৫৫ থেকে বেড়ে ৭৯৫ ডলার। মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় অক্টোবরের জন্য এ নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব রুবিনা ফেরদৌসী। উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি। সরকারি সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম আগের ৫৯১ টাকাই থাকছে। গাড়িতে ব্যবহূত এলপিজির নতুন দাম প্রতি লিটার ৫৮ টাকা ৬৮ পয়সা, যা আগে ছিল ৫০ টাকা ৫৬ পয়সা।

গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করেছিল এ সংস্থা। তারপর থেকে প্রতি মাসে একবার দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। গত ডিসেম্বরে বিইআরসিতে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করে এলপিজি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। গত ১৪ জানুয়ারি এলপিজির দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি। এরপর ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে নতুন করে আবার গত মাসে গণশুনানি করে কমিশন।