গ্রাহকদের গচ্ছিত ব্যাংক আমানত নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ব্যাংকগুলোতে কোনো তারল্য সংকট নেই। গ্রাহকদের গচ্ছিত আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ আছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানটি কোনো ষড়যন্ত্রমূলক খবরে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

গতকাল রোববার (১৩ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই সঙ্গে জমা রাখা টাকার বিষয়েও কোনো আশঙ্কা নেই বলেও জানিয়েছেন তারা।

‘ব্যাংকে চেক জমা দিলে মিলছে না নগদ অর্থ। বৈদেশিক মুদ্রা সংকটে ব্যাংকগুলো পর্যাপ্ত এলসি না খুলতে পারায় আশঙ্কা দেখা দিয়েছে জমা রাখা অর্থ নিয়েও।’ দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাসহ কয়েকটি পত্রিকার এমন রিপোর্টের পর সামাজিক মাধ্যমেও এ নিয়ে অপপ্রচারে নামে একটি মহল।

এ অবস্থায় এ অপপ্রচার বন্ধে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই গ্রাহকদের। তারল্য সংকটে কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না বলেও জানান মুখপাত্র।

এসব খবরকে ষড়যন্ত্রমূলক বলেও মন্তব্য বাংলাদেশ ব্যাংকের। ব্যাংকগুলোতে এলসি খোলা অব্যাহত আছে বলেও জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জি. এম. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা অত্যন্ত সুদৃঢ় আছে; তাই এখানে কোনো ধরনের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। আমি মনে করি আমাদের ব্যাংকের লিকুইডিটি পজিশনও ভালো। স্বাধীনতার ৫১ বছরে আমাদের কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়নি। আমরা আশাবাদী কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না। আমানত প্রাপ্তির বিষয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ব্যাংকগুলোর এলসি যে স্থবির বা বন্ধ হয়ে গেছে কথাটা একদম সঠিক নয়।

এ সময় বাংলাদেশে সফরে আসা বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বৈঠকের বিষয়টি তুলে ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গ্রিড সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সংস্থাটি সহযোগিতা দিয়ে যাবে বলে জানান মুখপাত্র।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে গ্রিড ক্যাপাসিটি এবং আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের যে প্রকল্পগুলো আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এর আগে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের নতুন আবাসিক প্রতিনিধি ও সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসারের সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী। পরে সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী জানান, ঢাকার চারপাশে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে অর্থ দিতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ঢাকার চারপাশে নদীপথ রয়ে গেছে। এগুলোকে সুন্দর করে হাতিরঝিলের মতো করে আরও আইডিয়া নিয়ে, আরও বিস্তৃত করে এগুলোকে যদি তৈরি করা যায় তাহলে এগুলো হারাবে না। তারা এগুলোর কাজ শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত তারা পজিটিভ; তাই এটা করা যাবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে এ পর্যন্ত ২৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।