পাবনায় রেস্তোরাঁর বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ ৪২ কলেজছাত্রী

পাবনা শহরের একটি রেস্তোরাঁর বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৪২ কলেজছাত্রী। তারা সবাই পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রী। গতকাল শনিবার (২৭ আগস্ট) রাতে বিরিয়ানি খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা।

আটজনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাদেরকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর আজ রোববার (২৮ আগস্ট) সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। কিন্তু তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বিকেলে পাবনা শহরের প্রধান সড়ক আব্দুল হামিদ রোডে ওই রেস্তোরাঁর সামনে মানববন্ধন করেছেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার রাতে পাবনা শহরের অবস্থিত ‘পুরান ঢাকার নান্না বিরিয়ানি হাউজ’ নামের একটি রেস্তোরাঁ থেকে ৪২ প্যাকেট বিরিয়ানি এনে খান শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে একে এক সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদের মধ্যে আটজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তারা আরও বলেন, এর আগেও প্রায় ৭০ জন এই রেস্তোরাঁর বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এ সময় তারা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নান্না বিরিয়ানি হাউজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সেখানে অবস্থান করার পর স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা কলেজে ফিরে যান।

এ বিষয়ে রেস্তোরাঁটির ম্যানেজার সজিব হোসেন বলেন, গতকাল তারা প্রায় ২০০ প্যাকেট বিরিয়ানি বিক্রি করেছেন। অন্য কেউ অভিযোগ দেননি। কলেজ ছাত্রীরা কীভাবে অসুস্থ হলেন তা তারা বুঝতে পারছেন না।

পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ফরিদা হলের প্রভোস্ট কামাল হোসেন বলেন, শনিবার রাতে বিরিয়ানি খেয়েই একে একে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

পাবনার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি তারা জেনেছেন। শিক্ষার্থীদের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পাবনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে দুপুরে একটি অভিযানে ব্যস্ত ছিলেন। এজন্য তিনি পাবনার সিভিল সার্জনকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন।

পাবনা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) জাহিদুল ইসলাম জানান, আটজন ছাত্রী বমি ও ডায়রিয়ার লক্ষণ নিয়ে শনিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে তারা সুস্থ হয়ে যাওয়ায় রোববার সকালেই হাসপাতাল ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরি বলেন, তিনি খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে কর্মকর্তাদের পাঠান। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।