বিয়ে করা ও ডিভোর্স দেয়া তো মিলার ব্যবসা!

পপ গায়িকা মিলার দায়েরকৃত মামলায় তার স্বামী বৈমানিক পারভেজ সানজারিকে গ্রেফতারের ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বইছে জেরার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দত্তরাবাদ গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দার মাঝে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমেও আলোচনা হচ্ছে ।

তবে বিয়ের পর মাত্র ৪ মাসের সংসারে বিচ্ছেদের সুর বেজে উঠলেও এখন পর্যন্ত তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়নি। পারভেজ সানজারির বাবা সরকারি কর্মকর্তা। এ বিষয়ে তারা গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে রাজি হননি।

তবে তারা এতটুকু জানিয়েছেন, উশৃঙ্খল জীবন-যাপন করা মিলার নেশা পেশায় রুপান্তরিত হয়েছে। তিনি মানসিকভাবে সুস্থ না। এমনকি তিনি একজন নেশাগ্রস্ত নারী।

তারা বলছেন, সে দিনের বেলায় ঘুমিয়ে থাকে, আর রাতের বেলায় কারণে অকারণে হট্টগোলের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

বিয়ে করা ও ডিভোর্স দেয়া তার ব্যবসা বলে দাবি করেছেন সানজির পরিবার। একযুগ আগেও মিলার আরও একটি বিয়ে হয়েছিল।

মিলার শ্বশুর-শাশুড়ির দাবি, মিলা তাদের সংসারকে নরক রাজ্যে পরিণত করেছে। যা বলে শেষ করা যাবে না। এমনকি পাররিবারিকভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হলেও তার কোনকিছুই মানছে না মিলা। মিলা কি চায় এবং কি করবে তা বুঝাই মুশকিল।

মারধর ও যৌতুকের অভিযোগে মিলার দায়েরকৃত মামলাটির বিষয় সম্পর্কে ওই পরিবারের একাধিক সদস্য গণমাধ্যমকে জানান, দায়েরকৃত মামলায় উল্টো ফেঁসে যেতে পারে মিলা। কারণ তাকে মারধর করা হয়নি। এমনকি তিনি ডাক্তারি সনদপত্রেও আঘাতের চিহ্ন প্রমাণ করতে পারবে না। আর যৌতুকের বিষয়ে বলেন, এটি বানায়োট। যা তদন্ত করলে ঘটনার মূল রহস্য বেড়িয়ে আসবে।

উল্লেখ্য, ১০ বছর প্রেম করার পর চলতি বছরের গত ১২ মে ২৫ লাখ টাকা দেন মোহর ধার্য করে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল মিলা ও পারভেজের। পারভেজ সানজারি একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের পাইলট হিসেবে কর্মরত।

বাংলাদেশ সময় : ১২৫০ ঘণ্টা, ০৮ অক্টোবর,  ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/ডিএ