নগ্নতাকে পুঁজি করে আলোচনায় এসেছেন যেসব নায়িকারা

বিতর্কিত কোন কিছু সংবাদের শিরোনাম হবে সেটাই স্বাভাবিক। আর সেটা যদি হয় শোবিজ অঙ্গনের তাহলে তো কথাই নেই। কারণ শোবিজ তারকাদের প্রতি একটা আলাদা আগ্রহ ও কৌতুহল কাজ করে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আর সেই সুযোগটাও নিতে চান অনেক শোবিজ সংশ্লিষ্টরা। শোবিজে আলোচনায় অথবা বিতর্কে আসার কিংবা সংবাদের শিরোনাম হবার অন্যতম একটি অস্ত্র হলো নগ্নতা। এই নগ্নতাকে পুজি করে শোবিজ ওয়ার্ল্ডে ব্যবসা যেমন হচ্ছে তেমনি অনেকেই রাতারাতি আলোচনায়ও আসতে চাইছেন। এরকমটা হয়ে আসছে সেই শোবিজের শুরু থেকে।

মেরিলিন মনরোর মতো দামি হলিউড তারকা পর্যন্ত নগ্নতায় বিশ্বাসি ছিলেন। নিজের খোলামেলা ও নগ্ন ছবির কারণে আলাদা একটি আবেদন দর্শকদের মাঝে তৈরি করতে পেরেছিলেন তিনি। তার সেই যৌন আবেদনের বিষয়টি এখনও আলোচিত হয়। কোটি টাকার নিলামে উঠে তার তোলা অপ্রকাশিত নগ্ন ছবিগুলো। মেরিলিন মনরো বুঝিয়ে দিয়েছিলেন সৌন্দর্যতার মিশেলে নগ্নতাকেও কিভাবে শিল্প করা যায়। তবে সবাই এরকমটা পেরে উঠেন না। অনেক হলিউড ও বলিউড অভিনেত্রী শৈল্পিকতার বিষয় মাথায় না রেখে কেবল নগ্ন হয়ে ক্যামেরায় আসার মাধ্যমেই আলোচনায় আসতে চান। হলিউড তো বটেই এখন বলিউডেও এটি ট্রেন্ড হয়ে দাড়িয়েছে। হলিউড অভিনেত্রীদের মধ্যে ‌নগ্নতাকে পুঁজি করে শোবিজে আসা নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম হলেন পামেলা এন্ডাসন। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ‘বেওয়াচ’ টিভি সিরিজে নগ্ন হয়ে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

এরপর সিনেমায়ও তাকে নগ্ন ও যৌন দৃশ্যে কাজ করতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, নগ্নতাকে তিনি স্টাইল বানিয়ে ফেলেছিলেন। যার কারণে জনসম্মুখেও মাঝে মধ্যে খোলামেলা পোশাকে অন্তর্বাস ছাড়াই হাজির হতেন তিনি। নগ্নতার মাধ্যমে তিনি সমালোচিত হলেও আলোচিতও কম হননি। হলিউড অভিনেত্রীদের মধ্যে নগ্ন হয়ে যিনি সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি হলেন সালমা হায়েক। মেক্সিকান এ অভিনেত্রী ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিভিন্ন ছবিতে নগ্ন হয়েছেন। নগ্নতার জন্য তাকে হলিউডের ‌বোম্বশেল উপাধি দেয়া হয়। এদিকে তার বয়স এখন ৫১ বছর।

তারপরও পর্দায় নগ্ন হতে একটুও আপত্তি নেই্ এ তারকার। ‘টাইটানিক’ ছবিতে নগ্ন হয়ে ক্যামেরাবন্দি হয়ে আলোচনায় আসেন কেট উইন্সলেট। সৌন্দর্যের সঙ্গে নগ্নতার একটি মিশেল ঘটিয়েছিলেন তিনি। নগ্নতাকে দাড় করিয়েছিলেন শৈল্পিকতায়। আর তাইতো এই টাইটানিক কন্যার সেই আবেদন এখনও মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। অভিনেত্রী ড্রু বেরিমোরও নগ্ন হয়ে পর্দায় এসেছেন বহুবার। প্রায় সাতটি ছবিতে তিনি নগ্ন হয়ে ক্যামেরাবন্দি হন। তবে নগ্নতার পাশাপাশি তার অভিনয়-পারফরমেন্সও সমানভাবে দর্শকপ্রিয়তা পায়। এছাড়াও অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, প্যারিস হিলটন, জুলিয়ানা মোর, জেনিফার টিলি, নাতাশা হেনট্রিজ, জেনিফার লোপেজ, আরেকজান্দ্র ডেডারির মতো তারকারাও একাধিকবার পর্দায় নগ্ন হয়ে এসেছেন। হলিউডে নগ্নতার বিষয়টি খুব একটা অস্বাভাবিক না হলেও বলিউডে কিন্তু শুরু থেকে কেবল নগ্নতার দ্বারা আলোচনায় আসার বিষয়টি স্বাভাবিক ছিলো না।

ভারতীয় ছবির শুরু থেকেই খোলামেলা হয়ে পর্দায় আসার ব্যাপারটা ছিলো। কিন্তু নগ্নতা ছিলো না। প্রথম আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে ‘সাগর’ ছবিতে পর্দায় নগ্ন হয়েছিলেন অভিনেত্রী ডিম্পল কাপাডিয়া। এরপর ‌১৯৯৬ সালে ‘ফায়ার’ ছবিতে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে আলোচনায় আসেন অভিনেত্রী নন্দনা সেন। এ ছবি নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়তে হয় তাকে। একই বছর সে সময়কার হট অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি ম্যাগাজিনের কাভারে নগ্ন হয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। ২০০৪ সালে ‘মার্ডার’ ছবিতে নগ্ন ও সেক্সের দৃশ্যে ক্যামেরাবন্দি হয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন মল্লিকা সারাওয়াত।

এরপর কয়েকটি ছবিতেও তাকে নগ্ন দৃশ্যে কাজ করতে দেখা যায়। এদিকে মডেল-অভিনেত্রী পুনম পাণ্ডে ধারাবাহিকভাবে নিজের নগ্নতা প্রকাশ করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নগ্ন ফটোশুটের বাইরেও নিজের একমাত্র ছবি ‘নেশা’ তে নগ্ন হয়ে ক্যামেরায় ধরা দেনে পুনম। পর্ণো তারকা থেকে বলিউডে অভিষেক হয় সানি লিওনের।

তিনিও ‘রাগিনি এমএমএস’ এবং ‘জিসম-২’ ছবিতে নগ্ন হয়ে ক্যামেরাবন্দি হন। সাম্প্রতিক সময়ে এষা গুপ্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিরিয়াল নগ্ন ছবি প্রকাশ করছেন। কমপক্ষে পঞ্চাশটি নগ্ন ছবি তিনি এরই মধ্যে প্রকাশ করেছেন। তবে অনেকেই বলছেন এষার এমন ছবি প্রকাশ একেবারেই অহেতুক। এর কোন মানে নেই। কিন্তু থেমে নেই অভিনেত্রী। এদিকে বলিউডে এসব অভিনেত্রীর বাইরেও নগ্নতার উপর ভর করে টিকে থাকার চেষ্টা করা অভিনেত্রীদের মধ্যে রয়েছেন পারভীন ববি, জিনাত আমান, উর্মিলা মাতোন্ডকার, সেলিনা জেটলি, ইশা কোপিকার, বিপাশা বসু, ইভলিন শর্মাসহ অনেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ১৮ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ