করোনা টিকা বণ্টনে স্বচ্ছতার তাগিদ সাধারণ মানুষের

দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্র ভারতের পক্ষ থেকে দেওয়া উপহার স্বরূপ প্রায় ২০ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা এসে বাংলাদেশেপৌঁছেছে। সেই ভ্যাকসিন নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

কেউ বলছেন, করোনার ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথমে দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ভিআইপিদের নেওয়া উচিত। তাহলে সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে।

আবার কেউ কেউ বলছেন, করোনা ভ্যাকসিন যাতে সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে দেওয়া হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রথমে ভিআইপিরা নিলেও পরবর্তীতে ভ্যাকসিন নিয়ে যেন কোনো স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি না হয়, সেটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।

মজির চৌধুরী নামের একজন বলছেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধামন্ত্রী, রাজা ও বাদশাহরা কোভিড ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে নিয়েছেন। আমাদের দেশের ভ্যাকসিন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ সদস্য ও বিএনপির চেয়ারপার্সনকে দিয়ে শুরু করা হোক। তাহলে জনগণের মধ্যে ভ্যাকসিন ভীতি দূর হবে।

বেসরকারি চাকরিজীবী শামসুল ইসলাম সাদিক বলছেন, করোনা ভ্যাকসিন দেশে এসে পৌঁছেছে, এটা আনন্দের খবর। তবে প্রথমে ভ্যাকসিন প্রধানমন্ত্রী ও তথ্য মন্ত্রীসহ ভিআইপিদের নেওয়া উচিত। তারপর সেটা সাধারণ জনগণকে দেওয়া হোক। তাহলে সাধারণ মানুষের ভ্যাকসিন ভীতি থাকবে না।

আরেক কর্মজীবী তানজিলা ইসলাম জিনাত বলছেন, ভারতের টিকার মান নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে একধরণের ভীতি তৈরি হয়েছে। এ ভীতি দূর হবে, যদি ভিআইপি, আমলা ও শিল্পপতিরা প্রথমে এ ভ্যাকসিন নেয়। তারপর সাধারণ মানুষকে যেন দেওয়া হয়।

আরেক বেসরকারি কর্মজীবী সাইফুল ইসলাম বলেন, ভ্যাকসিন বণ্টনে যেন কোনো দুর্নীতি না হয়, সে ব্যাপারে সরকারকে কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বণ্টনে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের কাছে সেটা পরিষ্কার করতে হবে।

শ্রমজীবী লাকি আক্তার বলেন, ‘টিকা সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে কতটুকু পাবে, সেটা সময়ই বলে দেবে’।