নতুন মন্ত্রিসভা রোববার

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হচ্ছে রোববার (৬ জানুয়ারি)। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য ও আগের মেয়াদের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) সংসদ ভবনে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ শপথ পাঠ করান।

শপথ শেষে সংসদীয় দলের বৈঠক শুরু হয়। ওই বৈঠকে মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক থেকে বের হয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে মন্ত্রিসভার বিষয়ে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদীয় কমিটির বৈঠকে জনগণের উন্নয়নের জন্য সবাইকে কাজ করতে বলেছেন।

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। ১ জানুয়ারি সদ্য নির্বাচিত ২৯৮ জন সংসদ সদস্যের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেওয়ার ফলে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে দ্রুত মন্ত্রিসভা গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ী দল আওয়ামী লীগ।

তবে নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন সে বিষয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

মন্ত্রিসভা গঠন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বুধবার (২ জানুয়ারি) বলেছিলেন, নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকবেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।’

মন্ত্রিসভা গঠন প্রসঙ্গে সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্ধারণ করবেন, সেভাবে অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আর যে সংসদ সদস্য, সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন বলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতীয়মান হবেন, রাষ্ট্রপতি তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠিত হয়েছিল ১২ জানুয়ারি। সংসদের অধিবেশন বসেছিল ২৯ জানুয়ারি। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে এবারও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পূরণ করেই সরকার গঠনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির বর্জনের মধ্যেই দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন হয়েছিল। ১২ জানুয়ারি গঠিত হয়েছিল নতুন মন্ত্রিসভা। তখন শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে ৪৮ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছিল। পরে কয়েক দফা রদবদল এনে শেষপর্যন্ত মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়ায় ৫২ সদস্যের।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে মহাজোটের দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৯, জাতীয় পার্টি ২০, ওয়ার্কার্স পার্টি তিন, জাসদ দুই, বিকল্পধারা দুই, তরিকত ফেডারেশন এক ও জেপি একটি আসনে জয়ী হয়েছে। বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র সাতটি। এর মধ্যে বিএনপি পাঁচ, গণফোরাম এক ও ঐক্যপ্রক্রিয়া একটি আসন পেয়েছে। এছাড়া তিনটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। আর স্থগিত একটি আসনে বিএনপির প্রার্থী এগিয়ে আছেন। এছাড়া, প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে একটি আসনে নির্বাচন আগেই স্থগিত করা হয়।

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/বিএনকে

Scroll to Top