ওজন কমানো ও ব্রণ সমস্যায় ড্রাগন ফল

ড্রাগন ফল। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে সেন্ট্রাল আমেরিকায় উৎপত্তি হাইলোসিরিউস এসপি গোত্রের এ ফলটি দক্ষিণ এশিয়ায় আনা হয় বিংশ শতাব্দীর শেষে। লাল বা হলুদ বর্ণের আকর্ষণীয় এ ফল বাংলাদেশে প্রথম প্রবর্তন করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্মপ্লাজম সেন্টারে ২০০৭ সালে। ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে এবং ওজন কমানোতে সিদ্ধহস্ত ইনি।

ড্রাগন ফল এখন দেশের অনেক জায়গায় এ ফলের চাষ হচ্ছে। এ ফলের রূপ বাজারে অতি সহজেই আপনার নজর কাড়বে। খুব পরিচিত ফল না হলেও, এখন কম বেশি সকলেই এই ফল নেড়েচেড়ে দেখেছেন। এটি দক্ষিণ আমেরিকার আদিবাসীদের প্রিয় ফল। তবে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড এবং চীনেও পাওয়া যায়। সেখানকার বাসিন্দাদের কাছেও এটি একটি প্রিয় ফল। যা খেলে আপনার স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা দূর হবে।

আপনি কি ব্রণজনিত সমস্যায় ভুগছেন বা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বর্ষায় হ্রাস পেয়েছে তবে আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে এই ফলটি আপনার জন্য বিস্ময়কর হবে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা আপনাকে ব্রণর সমস্যা থেকে বের করে আনবে এবং ব্রণযুক্ত দাগ বা সক্রিয় ব্রণযুক্ত অঞ্চলগুলিতে ফলের রস লাগিয়ে স্ক্রাব করলেও উপকার পাবেন। তবে ব্রণজনিত ত্বকের চিকিৎসার জন্য আপনি বাড়িতে ভিটামিন সি সিরাম দিয়ে এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য কিন্তু ক্রিম, সিরামই যথেষ্ট নয়। যথাযথ খাদ্যই আপনার ত্বকের সৌন্দর্যকে বের করে আনবে। তার জন্য বাজার থেকে নিয়ে আসুন ড্রাগন ফল। সচরাচর বাড়ির নিকটবর্তী বাজারে এর দেখা না পেলেও আপনি শপিংমলে পেতেই পারেন। এই ফল এখন আর দুর্লভ নয়।

ড্রাগন ফল ভিটামিন সি দ্বারা সমৃদ্ধ। করোনা পরিস্থিতিতে কিন্তু শরীরে ভিটামিন সি এর দাপট থাকা প্রয়োজন। এই ফলটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে পারে। রোগজীবাণুকে হত্যা করতে সহায়তা করবে। আপনার দেহে শ্বেত রক্ত ​কণিকার সংখ্যা বাড়াবে। কেবল এতেই শেষ নয়, এটি ওজন বজায় রাখতে বা হ্রাস করতেও সহায়তা করতে পারে। কারণ এ ফলটির ৮০ শতাংশই পানি। ড্রাগন এমন একটি ফল যা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ, যা নিশ্চিতভাবে আপনার অন্ত্রের গতিবিধিকেও নিয়ন্ত্রণ করবে।