জেনে নিন কাপড়ের মাস্ক পরলে কী করবেন, কী করবেন না?

মহামারী করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৪০ শতাংশ রোগীই উপসর্গহীন। এসব আক্রান্তের শরীরে ভাইরাস বাসা বাঁধলেও রোগ লক্ষণ ফুটে ওঠে না। তারাও কিন্তু অন্যের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে দিতে পারে। রোগ লক্ষণ থাকে না বলে তাদের চিহ্নিত করাও কঠিন। আপনি বুঝতেও পারবেন না, সামনের মানুষটি উপসর্গহীন কি না! এই সমস্যা সমাধানে বাড়ির বাইরে পা দিলেই মাস্ক ব্যবহার করুন।

এখন বহু মানুষই মেডিকেল মাস্কের পরিবর্তে নন মেডিকেল কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করছেন। এই মাস্ক পরলে বেশকিছু নিয়ম মেনে চলতে হবেঃ

কী করবেন?
১. মাস্ক পরার আগে সাবান পানিতে হাত ধুয়ে নিন।

২. দেখে নিন মাস্ক ভালো আছে কি না বা মাস্কে ময়লা লেগে আছে কি না।

৩. মাস্কের দড়ি বা ইলাস্টিক ধরে মুখ-নাক ঢেকে মাস্ক পরুন। দেখবেন, মাস্কের ধার যেন গালের সঙ্গে লেগে থাকে।

৪. মাস্কে হাত দেবেন না।

৫. মাস্ক খোলার আগে হাত ধুয়ে বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত করে নিন।

৬. মাস্কের দড়ি বা ইলাস্টিক ধরেই মাস্ক খুলুন।

৭. মাস্কে ময়লা না লেগে থাকলে বা মাস্ক ভালো থাকলে সেটাকে যত্ন করে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে পরিষ্কার মুখ বন্ধ করা যায় এমন প্ল্যাস্টিক বা ব্যাগে রাখুন।

৮. প্রতিদিন অন্তত একবার মাস্কটিকে ডিটারজেন্ট বা সাবান ব্যবহার করে ধুয়ে নিন।

৯. মাস্ক খোলার পর অবশ্যই হাত সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

কী করবেন না?
১. নোংরা, নষ্ট হয়ে যাওয়া বা ভেজা মাস্ক পরবেন না।

২. আলগা মাস্ক পরবেন না।

৩. নাকের নীচে মাস্ক পরবেন না।

৪. এক মিটারের মধ্যে মানুষ থাকলে মাস্ক খুলবেন না।

৫. শ্বাস নিতে সমস্যা হয় এমন মাস্ক পরা যাবে না।

৬. নিজের মাস্ক অন্যকে পরতে দেবেন না। অন্যের মাস্ক পরবেন না।

মনে রাখবেন
কাপড়ের ফেব্রিক্স মাস্ক পরে রোগ প্রতিরোধ করতে হলে অন্যের থেকে এক মিটার দূরত্বে থাকা, নিয়মিত ভালো করে হাত ধোয়া, মাস্ক এবং মুখে হাত না দেওয়ার নিয়মগুলোও মানতে হবে।