কর্মস্থলে ঘুম ভাব কাটানোর সহজ উপায়

অফিস বা বাসাবাড়ি যেখানেই অবস্থান করেন না কেন, দুপুরে খাবারের পর প্রতিটি মানুষের মাঝেই একটু ঘুম ঘুম ভাব লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে খাওয়ার পর মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ হ্রাস পাওয়ার কারণেই এ ঘুম ভাব চলে আসে। এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার।

কিন্তু এ স্বাভাবিক ব্যাপারটি সহজ উপায় অবলম্বন করেই দূর করা যায়। তাহলে চলুন জেনে নেই দুপুরের ঘুমের ভাব দূর করার কয়েকটি উপায়:

পরিমিত আহার:

মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনি পেট যতো ভর্তি করে খাবেন আপনার ঘুম ঘুম ভাব ততোই বেশি হবে। ক্ষুধা মেটানোর জন্য অল্প পরিমাণে খাবার খান। অতিরিক্ত খেয়ে পেট ভারী করে ফেলবেন না। দুপুরে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি না খেয়ে প্রোটিন, আয়রন জাতীয় খাবার বেশি খান। এতে করে ঘুম ঘুম ভাব দূরে রাখতে পারবেন।

পানি পান করুন:

খাওয়ার পর পানি পান করুন। পানি ঘুম ঘুম ভাব দূর করার সব চাইতে ভালো ওষুধ। পানি দেহের হাইড্রেট ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে। এতে করে ঘুম ঘুম ভাবও দূর হয়ে যায়। পানি পান করলে আমাদের দেহের কোষগুলো নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। এক গ্লাস পানি পান করে নিন। দেখবেন ঝিম ঝিম ঘুম ধরা ভাব কেটে গেছে। এমনকি পানি পান করলে মস্তিষ্ক নতুন করে কাজ করার জন্য তৈরি হয়ে যায়।

এক কাপ চা-কফি:

চা বা কফি ঝিম ভাব দূর করার জন্য সব চাইতে কার্যকর একটি পানীয়। দুপুরের খাবারের শেষে এক কাপ চা বা কফি খেলে এক নিমেষে দূর হবে ঝিম ধরা ভাব। চা-কফির ক্যাফেইন আমাদের মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে বেশ কার্যকর। সকালে চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। চিনিযুক্ত খাবার আপনাকে তাৎক্ষণিকভাবে এনার্জি দিতে পারে ঠিকই কিন্তু তা কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনাকে অনেক বেশি ক্লান্ত করে ফেলে যার কারণে দুপুর হলে অনেক বেশি ক্লান্তির কারণে ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে।

হাঁটাহাঁটি করুন:

বসে থাকলে কিংবা চেয়ারে একটু গা এলিয়ে পড়ে থাকলে ঘুম ঘুম ভাব আরো জাঁকিয়ে বসে। তাই খাওয়ার পর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ৫ মিনিটের জন্য হলেও হাঁটুন। এতে শরীরের আলস্য কেটে যাবে। আর ঘুম ঘুম ভাবও দূর হবে।

চোখে মুখে পানি দিন:

চোখে পানির ঝাপটা দিন। চোখে মুখে ঠান্ডা পানির একটু ঝাপটা দিলে আমাদের মাথা ঝিম ধরা এবং শরীরে অলসভাব একেবারে দূর হয়ে যায়।

কথা বলুন:

আপনি যদি ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে চুপচাপ কাজে মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করতে থাকেন, তাহলে কখনোই এই ঝিম ধরা ভাবটি যাবে না। কারণ এতে করে আপনার আলস্য কাটানোর কোনো কাজই হচ্ছে না। দুপুর পরের এই অস্বস্তিকর ভাব থেকে উঠতে চাইলে কলিগ বা সহপাঠীর সঙ্গে কয়েক মিনিট কথা বলতে পারেন। আমরা যখন কথা বলি বা কোনো কিছু নিয়ে আলোচনা করি তখন আমাদের মস্তিষ্ক সজাগ হয়ে থাকে। তাই অল্প কিছুক্ষণ কথা বলে দেখুন।

সকালেই নিয়ে রাখুন কিছুটা প্রস্তুতি:

নিজের জন্য একটি নির্দিষ্ট ঘুমের সময় বেঁছে নিন। এবং সেই সাইকেল অনুযায়ী ঘুম থেকে উঠুন এবং ঘুমাতে যান। যদি পরিমান মত ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে পারেন তাহলে অবশ্যই দুপুরে আর ঘুম ঘুম ভাব আসবে না।