ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে মিষ্টি আলু খেলে

চিকিৎসকরা ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টিজাতীয় সব খাবারই এড়িয়ে যাবার পরামর্শ দেন। এ কারণে অনেকেই হয়ত ভাবতে পারেন তাহলে মিষ্টি আলু খেলে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস?

বিশেষজ্ঞদের মতে, মিষ্টি আলুতে থাকা পুষ্টিকর উপাদানসমূহ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভীষণভাবে সাহায্য করে। পাশাপাশি বদহজমের সমস্যা থাকলে তাও দূর করে। মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে বলে এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অনেকেই ডায়াবেটিস হলে মিষ্টি আলু এড়িয়ে যান। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এটি মোটেও ঠিক নয়। তাদের মতে, অল্প পরিমাণ মিষ্টি আলু দিনে একবার হলেও খাওয়া যেতে পারে। গোল আলুর চেয়ে মিষ্টি আলুতে বেশি পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। যেহেতু গোল আলুর চেয়ে মিষ্টি আলুর জিআই (গ্লাইসেমিক ইনডেক্স) কম
তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে মিষ্টি আলু খেলে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

বিশ্বে প্রায় ৪০০ রকমের মিষ্টি আলু পাওয়া যায়। এর মধ্যে স্বাস্থ্য উপকারিতা সবচেয়ে বেশি জাপানি ও বেগুনি মিষ্টি আলুর। সর্বদা মাঝারি আকারের মিষ্টি আলু খাবেন। মিষ্টি আলু শুধু সালাদ বা ভেজিটেবলের সঙ্গে নয়, বিভিন্নভাবে আপনার দৈনন্দিন খাবারে যুক্ত করতে পারেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, ভুনা বা ভাজা মিষ্টি আলুর চেয়ে সেদ্ধ করে খেলে জিআই কম মেলে। তাইতো মিষ্টি আলুতে থাকা সব পুষ্টিগুণ পেতে সেদ্ধ করে খাওয়াই ভালো।

ডায়াবেটিস রোগীদের শুধু সুগার নিয়ন্ত্রণ নয়, ডায়াবেটিস রোগীদের কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যা হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। মিষ্টি আলুতে থাকা ফাইবার এই সমস্যাটি থেকেও মুক্তি দেয়। মিষ্টি আলু আরও যেসব সমস্যার সমাধানে কাজ করে নিম্নে তা তুলে ধরা হলো –

>> মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

>> এ মিষ্টি আলু খেলে পেট অনেক্ষণ পর্যন্ত ভরা থাকে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

>> মিষ্টি আলুতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান এবং ভিটামিন এ, বি, সি, ডি, ই ও কে থাকে। যা একাধিক সমস্যা দূর করে ও শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

>> অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসে পরিপূর্ণ মিষ্টি আলুতে ক্যারটেনয়ডস নামক একটি উপাদান থাকে, যা কোষের ক্ষয় রোধ করে।

>> মিষ্টি আলুতে ভিটামিন ই ও সি থাকে। যা ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। ফলে ব়্যাশ, ত্বক কালো হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা থাকে না।

>> অ্যান্টি-ক্যানসার জাতীয় উপাদানও রয়েছে মিষ্টি আলুতে। বেগুনি রঙের মিষ্টি আলুর উপরে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, এতে অ্যান্থোক্যায়ানিন থাকে যা ব্লাডার, ব্রেস্ট ও গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এ উপাদানটি যেকোনো ক্যান্সারের কোষ মেরে ফেলে এবং কোষ নষ্ট হওয়ার পরিমাণ কমায়।