চশমায় করোনার ঝুঁকি অনেক কম !

গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতি এক ঘণ্টায় একজন মানুষ ২৩ বার মুখে এবং তিনবার করে চোখে হাত দেয়। করোনাভাইরাস নিয়ে নানা রকমের গবেষণা এখনও চলমান রয়েছে। তার মধ্যে একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে যাঁদের চোখে চশমা আছে, তাঁদের কোভিড ১৯ সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক কম। চোখে চশমা থাকার কারণে তাঁরা চোখে হাত কম দেন বা চোখ কম ঘষেন। চিকিৎসকরা এই গবেষণার জন্য ৩০৪ জন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। যাঁদের মধ্যে ২২৩ পুরুষ এবং বাকিরা মহিলা, এঁদের বয়স ১০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। এই গবেষণা প্রতিবেদন একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

দেখা গিয়েছে যে ১৯% বলেছে তাঁরা বেশিরভাগ সময়ে চশমা পরে থাকেন। গবেষকরা দেখেছেন যে প্রতি এক ঘণ্টায় একজন ২৩ বার মুখে হাত দেয় এবং তিনবার করে চোখে হাত দেয়। গবেষকরা দাবি করেছেন যাঁরা চশমা পরেন তাঁদের কোভিড হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে তিন চার গুণ কম। কারণ চশমা চোখে থাকার দরুন তাঁরা চোখে কম হাত দেন। ফলে সংক্রমণও অনেক কম হয়।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এটা দেখা গিয়েছে যে সংক্রমিত অপরিষ্কার হাত চোখে, মুখে বা নাকে দিলে এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। অন্য দিকে, যাঁরা চশমা পড়ায় অভ্যস্ত, তাঁরা চোখে হাত কম দেন। বিশেষ করে যাঁরা টানা ৮ ঘণ্টা চশমা পরে থাকেন, তাঁরা কোভিড দ্বারা অনেক কম আক্রান্ত হন।

সেই জন্য চোখের ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়েছেন যে যাঁরা চোখে লেন্স পরেন তাঁরা যেন পরিবর্তে চশমা পরা শুরু করেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী গত বছরে দেখা গিয়েছে যে চিনে যাঁরা চশমা পরেছেন তারা চশমাবিহীনদের চেয়ে তাঁরা ৫ গুণ কম কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।

চিনের নানচুং বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে যে এসিই ২ নামক যে রিসেপটর দিয়ে এই ভাইরাস মানবশরীরে প্রবেশ করে, সেই রিসেপটর চোখেই অবস্থিত। তাই বার বার করে চোখের সুরক্ষার কথা বলা হচ্ছে। এখানকার গবেষকরাও তাঁদের গবেষণার সময়ে ঠিক একই বিষয় লক্ষ্য করেছেন। তাঁরা বলতে চাইছেন যে চশমা বা গ্লাস আসলে একটি ঢালের মতো সুরক্ষাবর্ম হয়ে কোভিড ভাইরাস শরীরে প্রবেশ আটকে দেয়।

সংবাদ সূত্রঃ নিউজ এইটিন