স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে অনশনে থাকা দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ

স্বাস্থ্যখাত সংস্কারসহ তিন দাবিতে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুই জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর অসুস্থ এক শিক্ষার্থীকে স্যালাইন ও অক্সিজেন দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাদের অনশন ভঙ্গ ও হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হয়ে ফটকের সামনে এ ব্যবস্থা করেন পরিচালক একেএম মুশিউল মুনীর।
অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলো বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষার্থী তাহমিদ ইসলাম দাইয়ান ও শাফিন মাহমুদ। এরমধ্যে দাইয়ানকে স্যালাইন ও অক্সিজেন দিতে হয়েছে। এ সময় বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক একেএম মশিউল মুনীর শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু অনশনকারী শাফিন মাহমুদ বলেন, আমরা অনশন শুরু করেছি ২৪ ঘণ্টা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এসে যতক্ষণ না পর্যন্ত কোন সমাধান দিবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত তারা অনশন করবেন। একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যদি দেশের মানুষের সঠিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হয়। সেই মৃত্যু আমরা মেনে নিবো।
এ সময় অসুস্থ শিক্ষার্থী দাইয়ান বলেন, আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট তাড়িয়েছি। আমাদের এক দফা আন্দোলনে যেতে বাধ্য করবেন না।

শিক্ষার্থীদের অনঢ় অবস্থানের কারনে হাসপাতাল পরিচালক অসুস্থ দাইয়ানকে বেডে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার জন্য ট্রলি নিয়ে আসেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যেতে না চাইলে গেটের সামনে শিক্ষার্থীকে স্যালাইন ও অক্সিজেন দিয়েছেন।
এ সময় পরিচালক ডা. একেএম মশিউল মুনীর বলেন, আমার পক্ষে যা করার সেটা করেছি। হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নে কাজ চলছে। দীর্ঘদিনে সমস্যা চাইলেই সমাধান সম্ভব নয়। তবে পরিস্থিতি অনেক উন্নতি হয়েছে। অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের সব সময় খোঁজ রেখেছি। সকালে অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে সাথে সাথে এসে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। তাদের অনশন ভঙ্গ করানোর চেষ্টা করেছি। তাদের সব কিছু বুঝিয়ে বলেছি। আমরা চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই।
এ সময় শিক্ষার্থী শাফিন মাহমুদ বলেন, পরিচালকের বিরুদ্ধে তাদের কোন অভিযোগ নেই। আমাদের অভিযোগ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার উপর। তার আসতে হবে।
অনশনে থাকা দাইয়ানের বোন শিফা বলেন, আমার ভাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে ও গুলিও খেয়েছিলো। ওর যদি কিছু হয় তাহলে প্রধান ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দায়ী থাকবেন।

Scroll to Top