এসব কেবল চীনেই সম্ভব!

চীনারা বিশ্বব্যাপী যে কোনো ইলেকট্রনিক পণ্যের ডুপ্লিকেট বা নকল সংস্করণ করতে বেশ পারদর্শী। কিন্তু তাই বলে যেন ভেবে বসবেন না চীনাদের নিজস্বতা বলতে কিছু নেই। বরং একটু ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যাবে, নতুন বা অভিনব কিছু করার ক্ষেত্রেও চীনাদের জুড়ি নেই। চলুন, এমন কিছু অভিনবত্ব সম্পর্কে জেনে আসা যাক!

* চীনারা হাঙ্গর বা কুমিরের মত জীব খায় বটে, তবে শুধুমাত্র এসব জীবের অংশবিশেষ। কিন্তু তারপরও মজার ব্যাপার হলো, চীনে ওয়ালমার্ট বা এ ধরণের অনেক সুপার শপে আস্ত হাঙ্গর বা কুমিরও সাজানো থাকে বিক্রির উদ্দেশ্যে!

* পুলিশ বা অন্যান্য নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীরা তাদের কাজে কুকুর ব্যবহার করে থাকে, এ তো জানা কথাই। কিন্তু চীনের কিছু অঞ্চলে কুকুরেরও বিকল্প অন্য এক প্রাণী ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাও আবার যে-সে প্রাণী না, রাজহাঁস! তাদের মতে, রাজহাঁসের নাকি দৃষ্টিশক্তি অসাধারণ, আর তারা প্রয়োজনে দারুণ আগ্রাসীও হয়ে উঠতে পারে।

* কিছু কিছু চীনা শহরের সাবওয়ে স্টেশনগুলোতে ভেন্ডিং মেশিন (বিক্রয়ের স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র) বসানো থাকে। সেখানে প্লাস্টিকের বক্সে ৫ ডিগ্রী তাপমাত্রায় জ্যান্ত কাঁকড়া পাওয়া যায়।

* অন্যান্য দেশের মত চীনেও যানজট রয়েছে। কিন্তু তারা যানজটের যন্ত্রনা উপশমের জন্য যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তা সত্যিই অসাধারণ। আপনি যদি চীনের কোন উন্নত শহরে গিয়ে যানজটে আটকে পড়েন, চাইলেই একটি বিশেষ সার্ভিস নিতে পারেন। কল পাওয়া মাত্রই তারা দুজনকে আপনার কাছে পাঠিয়ে দেবে। একজন আপনার গাড়ির দেখভাল করবে, অন্যজন আপনাকে একটি মটর বাইকে করে সময়ের মধ্যে আপনার গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেবে।

* চীনা অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাদের কোম্পানিতে কর্মরতদের ডরমিটরি বা কোয়ার্টারের চারিদিকে নেট লাগিয়ে দেয়, যেন কেউ আত্মহত্যার চেষ্টা করতে না পারে।

* চীন এমনই এক দেশ যেখানে চুরি করা শবদেহও হাজার হাজার ডলারে বিকোয়। আর সেগুলো কারা কেনে, জানেন? সেইসব আধপাগল পরিবারেরা, যারা তাদের মৃত ও অবিবাহিত আত্মীয়দের বিয়ে দিতে চায়!

* চীনের কিছু কিছু অঞ্চলের বাতাস এতটাই দূষিত যে অনেক দোকানে বোতলে করে বিভিন্ন ধরণের নির্মল বায়ু বিক্রি করা হয়।

* ওষুধ তৈরীতে কাজে লাগে বলে আজকাল চীনে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ধরণের পোকামাকড়েরও চাষ হয়। আর এর মাধ্যমে প্রচুর আয় করাও সম্ভব।

* চীনে সাম্প্রতিক সময়ে হাউজিং প্রকল্পগুলো খুবই উন্নতি করেছে। কিন্তু তার দরুণ যেটি হয়েছে তা হলো, সারা দেশব্যাপী অসংখ্য ‘ঘোস্ট সিটি’ গড়ে উঠেছে!

* এটি একটি ইউনেস্কো দ্বারা ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। এখানে রয়েছে ২৭০ মিলিয়ন বছরের পুরনো সব পাথর। আর এইসব পাথরের সমন্বয়েই গড়ে উঠেছে আস্ত একটি জঙ্গল!

* নতুন দালানকোঠা বা অবকাঠামো নির্মাণের জন্য পূর্বের বাসিন্দাদের উচ্ছেদ বা স্থানান্তরের প্রচলন তো গোটা দুনিয়াতেই দেখা যায়। কিন্তু চীন এখানে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। তারা ব্যক্তিস্বাধীনতার হস্তক্ষেপে বিশ্বাসী না। তাই কেউ যদি তার পুরনো বাসস্থান ছাড়তে রাজি না হয়, তবে তার বাড়িটিকে এভাবে মাঝখানে রেখেই চারদিক দিয়ে গড়ে তুলতে হয় নতুন অবকাঠামো।

* সেনাবাহিনীতে কাজ করবে এমন মহিলাদের ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে শক্ত-সমর্থ হওয়াটাকেই বেশি প্রাধান্য দেয়ার কথা। কিন্তু চীনে নারীদের শুধু শারীরিকভাবে সক্ষম হলেই হয় না, সেনাবাহিনীতে ঢুকতে হলে দেখতে আকর্ষণীয় হওয়াটাও চাই!

বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসডিএম