ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় যুবক খুন, গণপিটুনিতে ঘাতক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে হাসান আলী (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন। পরে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে দুর্বৃত্ত আকবর আলী (৩৫) নিহত হয়েছেন।

ছুরিকাঘাতে নিহত হাসান আলী আমিরপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে। অপরদিকে গণপিটুনিতে নিহত আকবর আলী দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকাতে সবজির ব্যবসা করতেন।

পুলিশ জানায়, ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর গ্রামের পঙ্গু হামিদুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে তার স্কুলপড়ুয়া নাতনিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন আকবর আলী। তখন ওই স্কুলছাত্রীর চিৎকার শুনে প্রতিরোধ করতে গেলে আকবর আলীর ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান হাসান আলী। গুরুতর আহত হন ওই স্কুলছাত্রীসহ তার নানা হামিদুল ইসলাম। পরে গ্রামবাসী আকবর আলীকে আটক করে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তিনিও মারা যান।

খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গুরুতর আহতাবস্থায় হামিদুল ইসলাম ও তার স্কুলপড়ুয়া নাতনিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু এহসান ওয়াহেদ রাজু জানান, ছুরিকাঘাতের কারণে হামিদুল ইসলামের শরীরে অসংখ্য ক্ষত হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে। আহত স্কুলছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার জানান, আকবর আলী বেশ কিছুদিন ধরে ওই গ্রামে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন। ভ্যানে করে গ্রামে গ্রামে সবজি বিক্রির ব্যবসা করলেও তার চরিত্র খারাপ ছিল। এর আগেও তিনি এক নারীকে ধর্ষণের সময় হাতেনাতে আটক হয়েছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, গণপিটুনিতে নিহত আকবর আলীর চরিত্র খারাপ ছিল। ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের জন্যই মূলত সে ওই বাড়িতে হানা দেয়। স্থানীয় গ্রামবাসী এমনটিই তথ্য দিয়েছেন। প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানে কাজ চলছে।