দেশজুড়ে আতশবাজি প্রদর্শনী বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণে

১৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে রাত ৮টায় এ আতশবাজির ঝলকানিতে আলোকোজ্জ্বল হয়ে উঠবে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ রাত আটটার দিকে টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই এদিনে বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণেই আতশবাজির আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ পরিবর্তিত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। গতকাল রবিবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আগামী ১৭ মার্চ সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের সব দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলিত হবে। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়া আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির একটি প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সেখানে দোয়া মাহফিল শিশু সমাবেশ, গ্রন্থমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। এছাড়া মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ দেশের সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। এতিম ও দুস্থদের মাঝে খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করা হবে।

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার রাত আটটায় বঙ্গবন্ধু জন্মক্ষণ উপলক্ষে সারাদেশে একযোগে আতশবাজি প্রদর্শনী হবে। ৩২ নং ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে এবং ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছাড়াও ঢাকার রবিন্দ্র সরেবর, হাতিরঝিল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসটি ও জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় আতশবাতি প্রদর্শনী হবে।।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্দ্যগে বনানী করাইল বস্তি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্দ্যগে জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম প্রঙ্গণে এতিম ও দুস্থদের মাঝে খাবার ও মিষ্টি বিতরণ করা হবে। সারা দেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অনুরুপ কর্মসূচি পালন করা হবে।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে রাত আটটার পরে একযোগে সকল গণমাধ্যমে প্রচারিত অনুষ্ঠান ঘরে বসে দেখা যাবে।

সভার আলোচ্য বিষয় প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে মুজবর্ষের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে সভানেত্রীর অনুমোদন নিয়ে, সারা বাংলাদেশের জেলা, উপজেলা, মহানগর এমনকি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যন্ত আমরা মুজিববর্ষ পালনের নির্দেশনা দিয়েছি। এদিকে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে রাজধানীর বিভিন্ন থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল এক সপ্তাহ আগে থেকে শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।