জন্মদিনে বাবাকে নিয়ে কবিতা আবৃত্তি করলেন হাসিনা, লিখেছেন রেহানা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে নির্মিত ‘মুক্তির মহানায়ক’ অনুষ্ঠানে বাবাকে নিয়ে শেখ রেহানার লেখা কবিতা আবৃত্তি করেছেন বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কবিতার নামও ‘বাবা’।

‘বাবা’ নামের এই ৩১ পঙ্‌ক্তির কবিতা শেখ রেহানা রচনা করেছিলেন ২০১০ সালের ১৭ মার্চ বাবার ৯০তম জন্মদিনে। আর গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে কবিতাটি আবৃত্তি করে শোনালেন বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই আবৃত্তি আগেই রেকর্ড করা হয়েছিল।

‘জন্মদিনে প্রতিবার একটি ফুল দিয়ে/ শুভেচ্ছা জানানো ছিল/ আমার সবচেয়ে আনন্দ।’—কবিতাটির শুরু এভাবেই। সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাঁরা দুই বোন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মম ঘাতকের বুলেটের ঝাঁক বিদীর্ণ করে দিয়েছিল সেই বক্ষ, যেখানে প্রগাঢ় ভালোবাসা ছিল সমগ্র বাঙালি জাতির জন্য। পিতার জন্মদিনের আয়োজনে তাঁকে হারানোর বেদনাকেই যেন আবার স্মরণ করলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই মেয়ে শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বাবাকে নিয়ে লেখা ছোট বোনের কবিতাটি আবৃত্তি করছিলেন, তখন শেখ রেহানাও পাশে ছিলেন। পুরো কবিতাটি এখানে দেওয়া হলো:

বাবা

শেখ রেহানা

জন্মদিনে প্রতিবার একটি ফুল দিয়ে
শুভেচ্ছা জানানো ছিল
আমার সবচেয়ে আনন্দ।
আর কখনো পাবো না এই সুখ
আর কখনো বলতে পারবো না
শুভ জন্মদিন।
কেন এমন হলো?
কে দেবে আমার প্রশ্নের উত্তর
কোথায় পাবো তোমায়…

যদি সন্ধ্যাতারাদের মাঝে থাকো
আকাশের দিকে তাকিয়ে বলবো
শুভ জন্মদিন।
তুমি কি মিটি মিটি জ্বলবে?

যদি বিশাল সমুদ্রের সামনে
ঢেউদের খেলার মাঝে থাকো বলবো
শুভ জন্মদিন।

সমুদ্রের গর্জনে শুনবো কি
তোমার বজ্রকণ্ঠ?
পাহাড়ের চূড়ায় যেখানে মেঘ
নীল আকাশে লুকোচুরি খেলে
তুমি কি ওখানে?
তাকিয়ে বলবো
শুভ জন্মদিন।

এক টুকরো সাদা মেঘ ভেসে যাবে
ওখানে কি তুমি?
আকাশে বাতাসে পাহাড়ে উপত্যকায়
তোমাকে খুঁজবো, ডাকবো
যে প্রতিধ্বনি হবে
ওখানে কি তুমি?
শুভ জন্মদিন।
শুভ জন্মদিন।