জাতির উদ্দেশে ২৫ মার্চ ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার (২৩ মার্চ) সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘২৫ তারিখে (২৫ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার কথা।’

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে সারাদেশ লকডাউন করার কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে কিনা- জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি এটুকু বলতে পারি, আমি যে দায়িত্বশীলতার কথা বলেছি, মাথা গরম করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে হবে, কখন কী করতে হবে! আমি সকলের কাছে অনুরোধ করব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বাস রাখুন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বাস রাখুন। সরকারের প্রতি আস্থা রাখুন, যখন যেটা বলতে হবে যথন যেটা করতে হবে, যথাসময়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় যেসব কথা বলা দরকার, জাতির উদ্দেশে ভাষণে সেই করণীয় সম্পর্কে অবশ্যই জাতিকে জানাবেন। এটাই প্রত্যাশা।’

এদিকে এ বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠান এবং বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্বাধীনতা পদক প্রদান অনুষ্ঠানও স্থগিত করা হয়েছে।

শনিবার (২১ মার্চ) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাক্ষাতে এ সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণকে করোনায় আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই বলে অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেই—এই কথাটা ঠিক নয়, ঘাটতি আছে। তবে সংগ্রহ করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সবকিছুর জন্য সরকারের সর্বাত্মক চেষ্টা আছে।’

প্রসঙ্গত, সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুজন মারা গেছেন। রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আরও তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩৩ জনে। তবে এরমধ্যে ৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।