না ফেরার দেশে মুক্তিযোদ্ধা জাহানারা

প্রয়াত অ্যাডভোকেট সিরাজুল হকের সহধর্মিণী এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহানারা হককে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হলো রাজধানীর বনানী কবরস্থানে।

আজ শনিবার (১৮ এপ্রিল) বাদযোহর বনানীর ১১ নম্বর রোড সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের জামে মসজিদে পারিবারিকভাবে ও সীমিত পরিসরে মরহুমার নামাজে জানাজা শেষে তাকে সমাহিত করা হয়।

নামাজে জানাজার পর মরহুমাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

জানাজায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও তাঁর আত্মীয় স্বজন ছাড়াও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিচারপতি ড. জাকির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের এমপি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আইন সচিব গোলাম সারওয়ার সহ আইন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দিনগত রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন জাহানারা হক । তিনি গত বছরের ২৭ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁ বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর।

এর মাধ্যমে তিন বছরের ব্যবধানে মন্ত্রী তার ভাই, বোনের পর মাকে হারালেন।

বিয়ের কিছুদিন পর ১৯৯১ সালের ২ জানুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী নূর আমাতুল্লাহ্ রিনা হককে হারান আইনমন্ত্রী। এরপর তিনি আর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি। তার কোনো সন্তান নেই।

আইনমন্ত্রীর বাবা বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ট সহচর আনিসুল হকের পিতা ছিলেন অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক ২০০২ সালের ২৮ অক্টোবর মারা যান। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার, জাতীয় সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা, প্রখ্যাত আইনজীবী ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চিফ প্রসিকিউটর ছিলেন।

মুক্তিযোদ্ধা জাহানারার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা।