কভিড-১৯ঃ ২০০০ চিকিৎসক ও ৫০৫৪ নার্স নিয়োগের সুপারিশ পিএসসির

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রের জরুরি প্রয়োজনে দুই হাজার চিকিৎসক এবং পাঁচ হাজার ৫৪ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন-পিএসসি। ৩৯তম বিশেষ বিসিএস থেকে চিকিৎসক ও ২০১৮ সালের সিনিয়র স্টাফ নার্সের পরীক্ষা থেকে এই নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কমিশন এই সুপারিশ করে।

কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩৯তম বিশেষ বিসিএস থেকে পদস্বল্পতার কারণে যারা ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত নন এমন আট হাজার ১০৭ জনের মধ্য থেকে রাষ্ট্রের জরুরি প্রয়োজনে দুই হাজার জনকে সাময়িক সুপারিশ করা হয়েছে। সারাদেশের হাসপাতালসমূহে উন্নত সেবা নিশ্চিতকরণে সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে পাঁচ হাজার ৫৪ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে। তবে অতি সম্প্রতি বিজ্ঞাপ্তিত কিছু আবেদনকৃত প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি এমন সিনিয়র স্টাফ নার্সের পদসমূহ সংরক্ষিত রেখে এই পাচঁ হাজার ৫৪ জনকে সাময়িক সুপারিশ করা হয়েছে।

পিএসসি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে ১০ এপ্রিল ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়, শেষ হয় ৩০ এপ্রিল। পরে ওই বছরের ৩ আগস্ট এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, এতে ৩৭ হাজার ৫৮৩ জন অংশ নেন। পরীক্ষায় পাস করেন মোট ১৩ হাজার ৭৫০ জন চিকিৎসক। এর মধ্যে সহকারী সার্জন পদে ১৩ হাজার ২১৯ চিকিৎসক ও ৫৩১ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে উত্তীর্ণ হন। বাকি আট হাজার ১০৭ জনের মধ্য থেকে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

সরকার এবং পিএসসি উভয়ই মনে করছেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দিতে হলে ৩৯ তম বিশেষ বিসিএস ও ২০১৮ সালের সিনিয়র স্টাফ নার্স পরীক্ষা থেকেই দিতে হবে। কারণ এই দুই পরীক্ষাই সদ্য শেষ হয়েছে। নতুন পরীক্ষার আয়োজন করতে হলে দীর্ঘ সময় লাগবে। যেখান থেকে নিয়োগপ্রাপ্তদের দেশের সংকটকালীন মুহূর্তে কাজে লাগানো সম্ভব নয়।