সরকারের প্রণোদনায় আউশের আবাদ বেড়েছে: কৃষিমন্ত্রী

সরকার আউশ আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষকদেরকে বীজ, সার, সেচসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। সারের দাম কমানো হয়েছে। অন্যদিকে, কৃষি বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো উচ্চফলনশীল জাতের উদ্ভাবন করেছেন, যেগুলো চাষের ফলে গড় ফলনও বেড়েছে।

মন্ত্রী আজ মেহেরপুর জেলা প্রশাসন এবং কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ আয়োজিত মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলার কালাচাঁদপুর গ্রামে আউশ ধান কর্তন উদ্বোধনকালে অনলাইনে এসব কথা বলেন।

কষিমন্ত্রী বলেন, আজকের ক্রপ কাটিংয়ে দেখা যাচ্ছে, প্রতি বিঘা জমিতে এখন ১৮-১৯ মণ ধান হচ্ছে যেটি অত্যন্ত গর্বের ও অহংকারের। অথচ, এক সময় আউশ উৎপাদন সবচেয়ে কম হতো। বিঘাতে মাত্র ২-৩ মণের মতো। ফলে, এবছর অনেক উৎসাহ ও আগ্রহ নিয়ে কৃষকেরা আউশ চাষ করেছেন। সারা দেশে আউশের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষিপণ্যের বাজারজাতে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। ইউরোপ-আমেরিকায় শাকসবজির অনেক দাম। এদেশের কৃষিপণ্যকে ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত দেশের বাজারে রপ্তানি করতে পারলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। সেজন্য, পূর্বাচলে একটি এগ্রো প্রসেসিং সেন্টার করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যাতে করে আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী এদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি করা যায়।

অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, মেহেরপুর কৃষিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ অঞ্চল। দেশের কৃষিতে ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের ব্যাপক অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। তাই এ অঞ্চলের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে দেশের কৃষিখাতকে আরো সমৃদ্ধ করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এ অঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে সেচের সুবিধার জন্য কিছু নদী খনন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো নদী ও খাল খনন করা হবে। প্রতিমন্ত্রী এ সময় এ অঞ্চলের বিভিন্ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে কৃষিকে আরো এগিয়ে নিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের উপরও গুরুত্বারোপ করেন।

কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, নতুন জাতের প্রসার ও জনপ্রিয়করণে এ ধরণের ফসল কর্তন উৎসব খুবই প্রয়োজন। বর্তমানে ব্রি ধান-৪৮ আউশের একটি ভাল জাত, তবে এর চেয়েও ভালজাত বা মেগা ভ্যারাইটি ব্রি ধান-৮৩ নিয়ে আসা হচ্ছে। এছাড়া, কৃষকের কাছে নতুন জাতের চাষাবাদ জনপ্রিয় করতে জেলা-উপজেলার ফান্ডের মাধ্যমে কিছু বীজ ক্রয় করা ও সংরক্ষণ করা গেলে সহজেই জাতগুলো জনপ্রিয় হবে।

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল মুঈদ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর, মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী প্রমুখ।