সুকুত্রা দ্বীপে গোয়েন্দা ঘাঁটি করছে আমিরাত-ইসরায়েল

সুকুত্রা আরব সাগরের মাঝে অবস্থিত। ভৌগলিক পরিবেশ এবং গাছপালার অদ্ভুত দর্শনের কারণে এই দ্বীপকে ভিনগ্রহবাসীদের দ্বীপ বা ‘এলিয়েন দ্বীপ’ বলা হয়ে থাকে চারটি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত সুকাত্রা দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা ইয়েমেনের। ইয়েমেনের সুকুত্রা দ্বীপে গোয়েন্দা ঘাঁটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইহুদি ও ফরাসি ভাষাভাষীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট জেফোরামের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত গোয়েন্দা ঘাঁটিটি দক্ষিণ ইয়েমেন থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে আরব সাগরে স্থাপন করা হবে। এ লক্ষ্যে ইসরায়েল ও আমিরাত প্রয়োজনীয় সব তথ্য সংগ্রহ করছে।

সম্প্রতি ইসরায়েলি ও আমিরাতি গোয়েন্দা প্রতিনিধি দল দ্বীপটি সফর করেছে এবং পরিকল্পিত গোয়েন্দা ঘাঁটি গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন স্থান যাচাই করেছে। ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসন শুরুর তিন বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ সালেল ৩০ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাত সুকুত্রা দ্বীপ দখল করে নেয়।

সুকুত্রা আরব সাগরের মাঝে অবস্থিত একটি দ্বীপ। ভৌগোলিক পরিবেশ এবং অদ্ভুত গাছপালার কারণে এই দ্বীপকে ভিনগ্রহবাসীদের দ্বীপ বা ‘এলিয়েন দ্বীপ’ বলা হয়ে থাকে।

গত ১৩ আগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আরব আমিরাত। সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর প্রথমবারের মতো বিমান যোগাযোগ শুরু করতে যাচ্ছে আমিরাত ও ইসরায়েল। সোমবার থেকে তেল আবিব ও আবুধাবির মধ্যে প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরু হচ্ছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইহুদিবাদী ইসরায়েল পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য মার্কিন মধ্যস্থতায় যে চুক্তি করেছে তার কঠোর নিন্দা জানিয়ছে ইয়েমেনের জনপ্রিয় হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন। সংগঠনটি বলেছে, আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যকার এ চুক্তি ফিলিস্তিনিদের জন্য মহা বিশ্বাসঘাতকতা।