ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তানের সব দায়িত্ব নিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় বাদশা আলম নামে এক মুদি দোকানি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করায় এক নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু এখন ওই প্রেমিক আর তাকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী নারী।

বিষয়টি জানতে পেরে সন্তান প্রসব পর্যন্ত ওই নারীর চিকিৎসার ভার এবং ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তার সন্তানের লালন-পালনসহ সব ব্যয় বহনের দায়িত্ব নিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই নারীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। বাঘা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফাতেমা মাসুদ লতা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী প্রায় সাত মাস আগে দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। এরপর ওই নারীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিবেশী মুদি দোকানি বাদশা আলম শারীরিক সম্পর্ক করেন। একপর্যায়ে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।

পরে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে ঘটনার পাঁচ মাস পর গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এর পাঁচদিন পর অভিযুক্ত বাদশা আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

বাঘা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফাতেমা মাসুদ লতা জানান, ‘ভুক্তভোগী নারীর খবরটি শোনার পর আমি বিষয়টি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে জানালে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।’

বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম জানান, প্রতিমন্ত্রী খবরটি জানার পর স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে ওই নারীর সন্তানের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়টি জানিয়েছেন।