ইসলাম অন্যের ওপর জুলুমের কথা বলেনি: হাছান মাহমুদ

অনেক ক্ষেত্রে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে অনেককে বিপথগামী করা হয়, অনেককে জঙ্গি বানানোর চেষ্টা করা হয় বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এগুলোর বিরুদ্ধেও আলেম সমাজ কথা বলেন, আমি অনুরোধ জানাবো আরো কথা বলে এগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া জন্য।

তিনি বলেন, ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম, ইসলাম অন্যের ওপর জুলুমের কথা বলেনি। আমাদের নবী করিম (সা.) কখনো অন্যের ওপর জুলুম করেন নেই, করাকে প্রশ্রয় দেন নেই, কেউ করলেও তাকে শাস্তি দিয়েছেন। সুতরাং জবরদস্ত করে কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া ইসলাম কোনোদিন সমর্থন করে না।

আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে আঞ্জুমানে রজভিয়া নূরিয়া বাংলাদেশ আয়োজিত যৌতুক ও মাদকবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আঞ্জুমানে রজভিয়া নূরিয়ার চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কাশেম নুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার যুগ্ন মহাসচিব এরশাদ মাহমুদ, তরুণ সংগঠক ফারাজ করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যাপক নূ ক ম আকবর হোসেন, রাজনীতিক ড. মাসুম চৌধুরী, আল্লামা মাসউদ হোসাইন আলকাদেরী, অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ দৌলতি প্রমুখ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের এই জনপদে ইসলাম কায়েম হয়েছে কোনো যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে নয়, অলী আউলিয়াদের মাধ্যমে এখানে ইসলাম কায়েম হয়েছে। সুতরাং আজকে অনেকে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দেয়, ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তরুণদেরকে বিপথগামী করে। সেগুলোর বিরুদ্ধে আলেম সমাজের সোচ্চার ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এই দেশ সবার। সব মত এবং দলের মানুষের, সবাই মিলে যুদ্ধ করে আমাদের এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা সবাই মিলে এই দেশটাকে গড়তে চাই।

প্রতি বছর যৌতুকবিরোধী সমাবেশ আয়োজনের জন্য আঞ্জুমানে রজভিয়া নূরিয়ার চেয়ারম্যান আবুল কাশেম নুরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ রকম সামাজিক আন্দোলন যদি আলেম সমাজের পক্ষ থেকে করা হয় তাহলে এটির বড় একটা প্রভাব সমাজের ওপর পড়ে। কারণ আলেম সমাজ হচ্ছে সমাজের স্বাভাবিক নেতা।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মাদকাসক্তির পাশাপাশি আমাদের কিশোর তরুণদের মাঝে ফেসবুক আসক্তি দেখা দিয়েছে। কিশোরদের হাতে হাতে মোবাইল ফোন, কিন্ত মা-বাবা খবর রাখে না সন্তানরা মোবাইলে কি করতেছে। এ জন্য আমি মনেকরি যৌতুক ও মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অতিরিক্ত আসক্তির বিরুদ্ধেও কথা বলা প্রয়োজন।