বাংলাদেশ টেলিভিশনের উন্নয়নে ২৫০ কোটি টাকা খরচই করা যাচ্ছে না

বাংলাদেশের সরকারি টেলিভিশন সংস্থা বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) উন্নয়নের জন্য ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও সে টাকা খরচই করা যাচ্ছে না। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আসছে না।

ফলে প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। বিটিভির উন্নয়নের জন্য আইপিটিভি (ইন্টারনাল প্রটোকল টেলিভিশন), অফিস অব টিচিং ইনিশিয়েটিভস (ওটিআই), ভিডিও অন ডিমান্ড (ভিওডি), স্টোরেজ সিস্টেম, নিউ মাইক্রোওয়েভ লিংক ফর্ম ন্যাশনাল পার্লামেন্ট টু ট্রান্সমিটার রুম বিটিভি, অপটিক্যাল লিংক বোটলসসহ বিভিন্ন কাজ করা হবে।

‘বাংলাদেশ টেলিভিশনের দেশব্যাপী ভিজিটাল টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচার প্রবর্তন (প্রথম পর্যায়)’ শীর্ষক ওই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো, জাতীয় রোডম্যাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়নের (আইটিইউ) নির্দেশিকা অনুযায়ী বাংলাদেশে ডিজিটাল টেরিস্ট্রিয়াল টেলিভিশন ব্রডকাস্টিং পদ্ধতিতে সম্প্রচার করা, একটি ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে একাধিক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা এবং দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্প্রচারের গুণগত মান বৃদ্ধি করা।

প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ ছিল ৫০ কোটি টাকা। কিন্তু ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত বরাদ্দ পাওয়া গেছে মাত্র ২৫ কোটি টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা যা, মোট বরাদ্দের ১৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (পরিকল্পনা সেল) মো. আনছার আলী বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পের প্রধান কাজ করবে জাপানি পরামর্শক। কিন্তু করোনার কারণে জাপান থেকে তারা আসতে পারছে না। ফলে প্রকল্পের কাজ এগোচ্ছে না। আমরা ভার্চ্যুয়ালি পরামর্শকদের সঙ্গে আলোচনা করছি। কিন্তু সশরীরে না এলে অনেক কাজই করা সম্ভব না। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নে আরো এক বছর সময় বাড়ানোর প্রয়োজন হবে। স্থানীয় কোনো পরামর্শক দিয়ে এই কাজ করানো সম্ভব নয়।

প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২১ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় ধরা হয় ২৫০ কোটি টাকা।

প্রকল্পে এ পর্যন্ত ই-জিপির মাধ্যমে অফিস সরঞ্জাম, কম্পিউটার ও গাড়ি কেনা হয়েছে। আউটসোর্সিং ও সরাসরি পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রের জন্য ১টি নতুন আড়াই হাজার কেভিএ সাবস্টেশন এবং অন্যান্য উপকেন্দ্রের জন্য ২৫০ কেভিএ ট্রান্সফরমার ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও সংস্থান কাজ চলমান। নোয়াখালী ও নাটোর উপকেন্দ্রের নতুন ট্রান্সমিটার ভবন নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। সাতক্ষীরা উপকেন্দ্রের নতুন ভবন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।