প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও ইসির সচিবসহ ৪৪ কর্মকর্তা পেলেন ফ্ল্যাট

সরকারের ৪৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহমদ ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

এর মধ্যে ১০ সিনিয়র কর্মকর্তাকে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রীর সংরক্ষিত কোটা থেকে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাকি ৩৪ কর্মকর্তাকে গ্রেডেশন অনুযায়ী ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ১৯৫তম বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সহসাই এসব কর্মকর্তার অনুকূলে ফ্ল্যাট বরাদ্দের সাময়িক বরাদ্দপত্র জারি করা হবে।

তালিকায় থাকা অন্যান্যরা হলেন- প্রধানমন্ত্রীর পিএস-১ মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক, ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান, পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের প্রধান মো. সাঈদুল হক, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মো. হানজালা, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মুন্সী শাহাবুদ্দীন আহমেদ, মো. নজরুল ইসলাম খন্দকার। এ ছাড়া ছয় লাখ টাকা জামানত দিয়ে ২৪ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফ্ল্যাট পাওয়ার যোগ্য ঘোষিত হয়েছেন।

এ তালিকায় সাবেক সিনিয়র সচিব ও সচিবদের মধ্যে আছেন, সাবেক সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক (বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার), সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার, মো. মুসলিম চৌধুরী, ড. এম আসলাম আলম, আকতারী মমতাজ ও মো. সিরাজুল হক খান। এ ছাড়া মো. জহুরুল হক, মো. মঞ্জুরুল বাছিদ, সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, মো. আক্তার হোসেন ভূঁইয়া, চৌধুরী আমির হোসেন, মো. সাইফুল হাসিব, মো. বাইতুল আমিন ভূঁইয়া, এএমএসএম সারফুজ্জামান, মো. মুজিবুর রহমান, স্বপন কুমার সরকার, মোহাম্মদ মোছাদ্দেক আলী, ড. রাখাল চন্দ্র বর্মণ, এমদাদ হোসেন, মো. সাইফুল আলম হামিদ, আ ন ম কুদরত- ই-খুদা, খান আবুল কালাম আজাদ এবং মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ।

চার লাখ টাকা জামানত দিয়ে প্লট বরাদ্দপ্রাপ্তরা হলেন- আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, ইসতিয়াক আহমেদ, কাজী শফিকুল আযম, মো. মঞ্জুরুল বাছিদ, এস এম কুদ্দুস জামান, মো. মোখলেছুর রহমান, এম আব্দুজ জাহের, ড. মো. রুহুল আমিন সরকার ও সুষেণ চন্দ্র দাস।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ও আধা-সরকারি কোটায় ৫৪টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ডিপিপি অনুসারে বরাদ্দযোগ্য ৩৯টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এর বিপরীতে গেল বছরের ৮ই আগস্ট আবেদন যাচাই বাছাই কমিটি ছয় লাখ টাকা জামানতের ৫০টি আবেদন, চার লাখ টাকা জামানতের ২৫টি এবং তিন লাখ টাকা জামানতের ১৫টি আবেদনসহ ৯০ জনের একটি গ্রেডেশন তালিকা পাঠায়। ওই গ্রেডেশন তালিকা থেকে ৩৪ জনকে ফ্ল্যাট দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া সংরক্ষিত কোটায় আরো ১০টি ফ্ল্যাট দেয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রশাসনের ৪৪ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফ্ল্যাট পেতে যাচ্ছেন।