সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঐক্যের আহ্বান

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন যে, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সহিংস অপতৎপরতা রুখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

আজ রোববার (২৮ মার্চ) দুপুরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন সেতুমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সহিংস অপতৎপরতা রুখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সকল শক্তিকে, সকল জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

কাদের বলেন, ভারত বিদ্বেষী যে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ঢাকা-চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ জাতীয় মসজিদের ভেতর যে তান্ডবলীলা চালিয়েছে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সফলতায় যাদের গাত্রদাহ, বিএনপি এই অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক।

বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের নৈতিক অধিকার আছে কিনা জানতে চেয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের জন্য কর্মসূচি ঘোষণা করে তখন জাতির সামনে প্রশ্ন হলো স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের নৈতিক অধিকার তাদের আছে কি না।

‘২৫ ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন না করে করোনার ভুয়া অজুহাতে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া আরেক রহস্যের জন্ম দিয়েছে’, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রের অসাম্প্রদায়িক ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিবর্তে ধর্মের লেবাস পরিয়ে দেয়, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের রাষ্ট্র ক্ষমতার অংশীদার করে, পরবর্তীতে খালেদা জিয়াও স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা তুলে দেয়।

সভায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ প্রান্তে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত আছেন।