বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার জন্য ‘ট্রাভেল পাস’ ইস্যু করতে আবেদন করেছেন। এ জন্য তিনি লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে আবেদন জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্য থেকে একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, তারেক রহমানের ট্রাভেল পাসের আবেদন ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্য থেকে একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, তারেক রহমানের ট্রাভেল পাসের আবেদন ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক কারণে লন্ডনে নির্বাসিত তারেক রহমান মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর বাংলাদেশের পাসপোর্ট পাননি। গত বছর অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ থাকলেও তিনি সে জন্য আবেদন করেননি। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে দেশে ফিরতে হলে তাকে ট্রাভেল পাসের মাধ্যমেই দেশে আসতে হবে।
গত মাসে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘তারেক রহমান দেশে আসতে চাইলে কোনো বিধিনিষেধ নেই, এক দিনে ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব।’ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘নিয়ম হচ্ছে যে যখন পাসপোর্ট থাকে না বা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে বলে, তখন কেউ যদি আসতে চান, তাহলে তাকে আমরা ওয়ান টাইম পাস একটা দিয়ে দিই, একবার দেশে আসার জন্য। তো এটাতে এক দিন লাগে। কাজেই এটা উনি যদি আজকে বলেন যে উনি আসবেন, আগামীকাল হয়তো আমরা এটা দিলে পরশু দিন প্লেনে উঠতে পারবেন। কোনো অসুবিধা নেই। এটা আমরা দিতে পারব।’
তারেক রহমান ২০০৭ সালে ১/১১-এর পটপরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করে আসছেন।
দীর্ঘ ১৭ বছরেরও বেশি সময় পর তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরছেন। ওই দিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ আয়োজন করছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ আজ বলেন, ‘আমরা চাই, তার (তারেক রহমান) এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন যেন বিগত ৫৫ বছরের ইতিহাসে যেভাবে, যা কিছু দৃষ্টান্ত হয়েছে, তাকে ছাড়িয়ে যায় এবং আগামী ৫৫ বছরের ইতিহাসেও যেন সে রকম কোনো ঐতিহাসিক ঘটনা না হয়, সে রকম একটা স্মরণীয় করে রাখার জন্যই আমাদের সব আয়োজন হচ্ছে।’
তারেক রহমানের মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারেক রহমান দেশে ফিরে সরাসরি হাসপাতালে মাকে দেখতে যেতে পারেন। তাই তারেক রহমান দেশে ফেরার পর তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য বিমানবন্দর ও এভারকেয়ার হাসপাতালের কাছাকাছি উপযুক্ত স্থান খোঁজা হচ্ছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমদ।







