‘পূর্বাচলে ৮০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে সরকার’

২০২১ সালের মধ্যে পূর্বাচল আবাসিক এলাকায় ৮০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি বাস্তবায়নে ২০২১ সালের মধ্যে বস্তিবাসী ও নিম্ন আয়ের মানুষসহ সবার জন্য পূর্বাচল আবাসিক এলাকায় ৮০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে কম সূদে ঋণ দেওয়া পদক্ষেপ নিতে হবে।

আজ সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ববসতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য শক্ত ও মজবুত বাড়ি নির্মাণ করবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভূমির যথাযথ ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে উত্তরা এলাকায় জমির পরিবর্তে ফ্ল্যাট নির্মাণ করে বরাদ্দ দেওয়া শুরু করেছে। ঝিলমিল ও পূর্বাচল প্রকল্পে ৮০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ শিগগিরই শুরু করার জন্য প্রক্রিয়া চলছে। গ্রামের মানুষও যাতে আধুনিক টেকসই আবাসন গড়ে তুলতে পারে সেই লক্ষ্যে সরকার বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করছে।

গৃহায়ন মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, দেশের জনসংখ্যার তুলনায় জমির পরিমাণ কম। তাই গ্রামেও বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ করছে। উত্তরা তৃতীয় পর্ব, পূর্বাচল ও ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় প্রায় এক লাখ ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ফ্ল্যাট গ্রহণযোগ্য মূল্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিক্রি করা হবে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী, রাজউকের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, স্থপতি অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম হাসিব, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান খন্দকার আখতারুজ্জামান।

সভাপতির বক্তব্যে মা. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, ঢাকা শহরে বসবাসকারী ৭০ শতাংশ লোকের কোনো ভূমি ও বাড়ি নেই। এক তৃতীয়াংশ পরিবার অত্যন্ত নিম্ন আয়ের। ঢাকায় ৩৭ শতাংশ মানুষ বাস করে ৫ শতাংশ ভূমির উপর। এছাড়া চট্রগ্রামে ৩৫ শতাংশ মানুষ বাস করে ৩ শতাংশ ভূমির উপর। অন্যান্য শহরের চিত্রও প্রায় একই রকম বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এর আগে আজ সকালে বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।

বাংলাদেশ সময় : ১৭২০ ঘণ্টা, ০৭ অক্টোবর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ