লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধিকে উপেক্ষা করে অষ্টমীর স্নানে মানুষের ঢল

লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধিকে ‘বৃদ্ধাঙ্গুলি’ দেখিয়েই কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদে হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজারো নারী-পুরুষ অষ্টমীর স্নানে অংশ নিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধিকে উপেক্ষা করে তাদের অধিকাংশেরই মুখে ছিল না মাস্ক, মানেননি সামাজিক দূরত্বও।

গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এই পূণ্যস্নানে জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আগত পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। দুপুর পর্যন্ত নানান আচার-অনুষ্ঠান পালন এবং পুজা-অর্চনার মাধ্যমে পুণ্যতোয়া খ্যাত ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করে পবিত্র হন তারা।

চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টম তিথিতে পুণ্যস্নান করে থাকেন। এ উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী মেলা বসে এই নদের তীরে। তবে লকডাউনের কারণে এবার কীর্ত্তন অনুষ্ঠান ও মেলা হয়নি।

এই পুণ্যস্নানের দিন ছিল গতকাল মঙ্গলবার। এবার করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় লকডাউন অব্যাহত থাকায় প্রশাসনের অনুরোধে স্থানীয়ভাবে পুণ্যস্নানের কোনো প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। তৈরি করা হয়নি কোনো ঘাট। খাবারসহ অন্যান্য দোকানপাটও বসেনি এবার।

পুণ্যস্নান উপলক্ষে যেন মানুষ ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে জমায়েত হতে না পারে সেজন্য গত সোমবার সকাল থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাবতলা এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে পথরোধ করা হয়। রিকশা-ভ্যান, অটোরিকশা সেখান থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ফিরিয়ে দেওয়া হয় পথচারীদেরও। কিন্তু সোমবার গভীর রাত থেকে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। দলে দলে নারী-পুরুষ ও শিশু পায়ে হেঁটে এসে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ের পুটিমারী এলাকায় এসে জড়ো হন।

এ বিষয়ে চিলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. অনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “আমাদের টহল টিম কাজ করছে। এর মধ্যে যারা সামনে পড়ছে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও যেখানে বেশি মানুষ সমাবেত হচ্ছে,আমরা খবর পাওয়া মাত্রই তাদের নিজ নিজ বাড়িতে ফেরত পাঠাচ্ছি।”