যেসব কারণে আইফোন ১০ না কিনে ৮ কিনবেন

চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল নতুন তিনটি ফোনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে বিশ্ববাসীকে। আইফোন ৮, আইফোন ৮ প্লাস এবং আইফোন ১০ (এক্স) এর দাম ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৬৯৯ ডলার, ৭৯৯ ডলার এবং ৯৯৯ ডলার। আইফোনের এমন ঘোষণার পর থেকে অনেকেই নভেম্বরে বাজারে আসতে যাওয়া আইফোন টেন কেনার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। তবে বেশকিছু কারণে আইফোন টেন এর জন্য অপেক্ষা না করে আইফোন ৮ কিনতে পারেন আপনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টের তথ্যানুযায়ী কারণগুলো পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

আইফোন ৮, আইফোন ৮ প্লাস এবং আইফোন টেন প্রস্তুতের আইডিয়া এসেছে একই মস্তিষ্ক থেকে। আর এ কারণেই ফোনগুলো বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে অভিন্ন। ফোনগুলোতে রয়েছে অ্যাপলের নতুন এ১১ বায়োনিক চিপ, নিউরাল ইঞ্জিন এবং এম১১ মোশন কোরপ্রোসেসর। তবে পার্থক্য শুধুমাত্র ফোনগুলোতে ফিচার ব্যবহারের ক্ষেত্রে। যেমন ফেশিয়াল রিকগনিশনের জন্য আইফোন টেন এ ব্যবহার করা হয়েছে এ১১ চিপ এবং নিউরাল ইঞ্জিন, যা আইফোন ৮ এ ব্যবহৃত হয়নি।

২০১৩ সালে উন্মোচিত হয় আইফোন ৫ এস। ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে ওই ফোনই আনলক করা সম্ভব। আর টাচ আইডি ফোন আনলক করার জন্য নিরাপদ হিসেবে প্রমাণিত। আইফোন টেন এ এই পদ্ধতির স্থলে ব্যবহার করা হয়েছে ফেশিয়াল রিকগনিশন ব্যবস্থা, যা একেবারেই নতুন। অ্যাপল তার বিবৃতিতে দাবি করেছে, ফেশিয়াল রিকগনিশন ব্যবস্থা টাচ আইডি থেকে অনেক নিরাপদ হবে। তাদের দাবি, অন্ধকারেও কাজ করবে এই সিস্টেম। এছাড়া আপনার চেহারার কোনো পরিবর্তনও ধরতে পারবে এই সিস্টেম। যেমন আপনার দাঁড়ি গজালে কিংবা আপনি গ্লাস পরলে কিংবা হেয়ার স্টাইল পরিবর্তিত হলেও তা ধরতে পারবে এই সিস্টেম। তবে কয়েক মিলিয়ন মানুষ যখন এটি ব্যবহার করবে তখন তা কতটা কাজ করবে সে বিষয়ে কেউই অবগত নন। প্রযুক্তি সংশয়াতীত হলেও আগে থেকেই এই সিস্টেমকে একেবারেই নির্ভুলও ভেবে নেওয়া যায় না। সুতরাং আইফোন ৮ কিনে এ শঙ্কা থেকে বাঁচতে পারেন আপনি।

অ্যাপলের উন্মোচিত সবগুলো ফোনেই রয়েছে কিউআই ওয়ারলেস চার্জিং এবং ফাস্ট চার্জিং ব্যবস্থা। আপনি যদি নতুন চার্জিং পদ্ধতিকে ব্যবহার করতে চান তবে আপনাকে বাড়তি অ্যাক্সেসরিজ ক্রয় করতে হবে। ২৫ থেকে ৭৫ ডলার ব্যয়ে যেকোনো স্থান থেকেই আপনি কিনতে পারবেন কিউআই ওয়ারলেস চার্জিং প্যাড। সুতরাং টাকা খরচ করে ফোন কেনার সময় এই খরচের কথাও মনে রাখতে হবে আপনাকে।

আপনি যদি ছবি তোলার কথা বিবেচনায় নেন তবে জেনে রাখুন আইফোন ৮ এবং আইফোন ১০ এর পিছনের ক্যামেরা অনেকটাই অভিন্ন। আইফোন ৮ এর ক্যামেরা অসাধারণ, আইফোন ৮ প্লাস এর ক্যামেরায় যুক্ত হয়েছে টেলিফটো লেন্স। এর মাধ্যমে আপনি ছবির কোয়ালিটি খারাপ না করেই যুম করতে পারবেন। তবে আইফোন ১০ এ রয়েছে ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল এবং টেলিফটো লেন্স, যা ব্যবহার করে ছবির স্থিতিশীলতার পাশাপাশি কম আলোতে ছবি তোলার ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন। অন্যদিকে আইফোন ৮ প্লাসে শুধুমাত্র ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্সে ওআইএস সিস্টেম রয়েছে যা আইফোন সেভেন প্লাসেও ছিল।

অন্যদিকে আইফোন ৮ এবং ৮ প্লাসের সামনের ক্যামেরা ও আইফোন টেন এর ট্রুডেপ্থ ক্যামেরা সিস্টেম অনেকটাই অভিন্ন। সবগুলো ফোনের সামনের ক্যামেরাই সাত মেগাপিক্সেল এবং এফ/২ দশমিক ২ অ্যাপারচার এবং ভিডিও কোয়ালিটি ১০৮০পিক্সেল।

একমাত্র পার্থক্য হচ্ছে, আইফোন টেন এ রয়েছে নতুন সফটওয়্যার সিস্টেম। যেমন এটিতে রয়েছে পোর্ট্রেট মুড সিস্টেম ও পোট্রেট লাইটিং ব্যবস্থা, যা ব্যবহার করে আপনি সেলফি তোলার সময় ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করতে পারবেন।

এছাড়া অ্যানিমোজি ব্যবহার করে আপনার ফেশিয়াল এক্সপ্রেশন ও গলার স্বরের অনুকরণে বন্ধুদের কাছে অ্যানিমেটেড ইমোজি পাঠাতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময় : ১৩১৬ ঘণ্টা, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/ডিএ