সুইজারল্যান্ডের ৫টি বিচিত্র আইন

স্বপ্নের দেশ হিসেবে সবাই যে দেশটিকে চেনে সেটি হল সুইজারল্যান্ড। এই দেশটি দেখতে অনেকটা স্বপ্নের দেশের মতো। পৃথিবীর বুকে এক টুকরো স্বর্গ হলো এই সুইজারল্যান্ড। ভ্রমণ করতে যারা ভালবাসে তাদের কাছে এ জায়গাটি বা স্থানটি অনেক জনপ্রিয় একটি স্থান। তবে জানলে অনেকে অবাক হবেন যে এই স্থানটিতে কিছু বিচিত্র আইন রয়েছে।

চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে আসি সুইজারল্যান্ড দেশটির কিছু বিচিত্র আইনসমূহ সম্পর্কে:

১) রাত ১০টার পর টয়লেট ফ্লাশ করা যাবে না

সুইজারল্যান্ডের একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে রাত ১০টার পর টয়লেট ফ্লাশ করা বেআইনি। কারণ সরকার এটিকে শব্দ দূষণ বলে মনে করে। এটি নাকি প্রতিবেশীদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। মানুষের ঘুমের সময় ব্যাহত করতে পারে। এই আইনটি রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত প্রযোজ্য। এমনকি, রাত ১০টার পর গাড়ির দরজা আটকানো এবং হাই হিল পড়াও বেআইনি।

২) রবিবার কাপড় শুকাতে দেওয়া নিষেধ

আমরা যারা কর্মজীবি তারা সাপ্তাহিক ছুটির দিনটি বেছে নেই ঘরের কাজের জন্য। এর মধ্যে কাপড় ধোয়াও থাকে। কিন্তু সুইজারল্যান্ডে তা সম্ভব না। আপনি কোনোভাবেই রবিবার বাইরে কাপড়-চোপড় শুকাতে পারবেন না। হোমওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এর মতে, আইনটি তৈরি করা হয়েছে। তাদের মতে, এটি দেখতে ভাল দেখায় না।

৩) সন্তানের নাম নির্ধারণে সতর্কতা

সুইসরা সন্তানের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে খুবই সংবেদনশীল। এদেশে শিশুর নাম অনুমোদন করতে হয়। শিশুদের নামকরণের জন্য কঠোর নিয়ম রয়েছে। বিশেষত, একটি নাম স্পষ্টভাবে ব্যক্তির লিঙ্গ নির্দেশ করতে হবে।

৪) রবিবারে ঘাস কাটতে পারবেন না

সুইজারল্যান্ডে, রবিবার মানেই অলস সময় কাটানো। সুইসরা তাদের বাড়ির লনে ঘাস লাগাতে পছন্দ করে। কিন্তু রবিবার দিন সেই ঘাস কাটা যাবে না। এটি একটি অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে। কারণ এতে খুব বেশি শব্দ হয়। যা কিনা অন্যদের বিরক্তির কারণ।

৫) একটি পোষা প্রাণী রাখা নিষেধ

বেশিরভাগ মানুষ একাকীত্ব দূর করতে প্রাণী পুষে থাকেন। কিন্তু পোষা প্রাণী যদি নিজেরাই একাকী হয়ে যায় কী হবে? সুইজারল্যান্ডে, একটি পোষা প্রাণী রাখা আইনত দণ্ডনীয় । সুতরাং, আপনাকে দুইটি প্রাণী পুষতে হবে। সেটি অবশ্যই তাদের নিজস্ব প্রজাতির হতে হবে। গিনিপিগ পুষতে গেলেও একাধিক রাখতে হবে। একই আইন প্রযোজ্য বগি, লামা, ঘোড়া এবং গোল্ডফিশের ক্ষেত্রে।