হানিপ্রীতের হঠাৎ বুকে হাত, ঘাবড়ে যান পুলিশ!

হানিপ্রীত ইনসানকে জিরাকপুর-পাতিয়ালা রোড থেকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে পুলিশ। তখন সেই গাড়িতে ছিলেন অন্য এক মহিলা সুখদীপ কউর। তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় হানিপ্রীতের। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা জেরা চলার পরে হঠাৎ রাত ১টা ৩০মিনিট নাগাদ বুকে হাত দিয়ে কাতরাতে থাকেন হানিপ্রীত। পুলিশ জিজ্ঞাসা করায় জবাব মেলে বুকে ব্যথা অনুভব করছেন তিনি। তাতে ঘাবড়ে যান পুলিশ অফিসাররা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে পাঁচকুলা সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁর ইসিজি করেন। কিন্তু তাতে বিশেষ কিছু পাওয়া যায়নি।

হানিপ্রীত ডাক্তারদের বলেন, তিনি মাইগ্রেনের ওষুধ খান সাধারণত। এর পরে তাঁকে আবার পুলিশের লকআপে ফিরিয়ে আনা হয়। সেখানে রাতে হানিপ্রীতকে ডাল ও দু’টি চাপাটি খেতে দেওয়া হয়। ডেরা সচ্চা সওদার প্রধান গুরমিত রাম রহিম ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ার পর তার ভক্তরা যে তাণ্ডব চালিয়েছিল, সেই ঘটনাতেই হানিপ্রীতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পাঁচকুলা পুলিশ।

মূলত কয়েকটি বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়: রাম রহিমের সঙ্গে তাঁর কী ধরনের সম্পর্ক ছিল? তিনি সুনারিয়া জেল থেকে বেরিয়ে কেন পুলিশের সামনে আর আসেনননি? শেষ তিনি কবে পবন ও আদিত্য ইনসানের সঙ্গে কথা বলেছেন? কোথায় লুকিয়ে ছিল হানিপ্রীত গত ৩৮ দিন। পাঁচকুলায় হিংসা ছড়ানোর জন্য কত টাকা খরচ করা হয়েছিল? হিংসা ছড়ানোয় তাঁর কী ভূমিকা ছিল? তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযানের কথা তিনি কার থেকে জেনে যাচ্ছিলেন? কার আশ্রয়ে ছিলেন তিনি?

তবে পুলিশ সূত্রে খবর তিনি সব প্রশ্নের উত্তরই এড়িয়ে যাচ্ছেন। গ্রেফতারের আগে তিনি একটি টয়োটা ইনোভা গাড়িতে করে জাতীয় সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই গাড়িটিকেই মাঝ পথে থামিয়ে হানিপ্রীতকে গ্রেফতার করে নিজেদের গাড়িতে তোলে পুলিশ। জায়গাটির দূরত্ব হরিয়ানা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দুরে।

তাঁকে পাহারা দেওয়ার জন্য দু’জন মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর, বিশেষ তদন্তকারী দলের ভারপ্রাপ্ত মুকেশ মালহোত্রা এবং চণ্ডীমন্দির পুলিশ থানার অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

পাঁচকুলা পুলিশের কমিশনার এ এস চাওলা জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরেই হানিপ্রীতকে আদালতে পেশ করা হবে। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময় : ১২৪৯ ঘণ্টা, ০৪ অক্টোবর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ