মূল হোতা হানিপ্রীতই!

হরিয়ানায় হিংসা ছড়ানোর নেপথ্যে হানিপ্রীতই। পুলিশের ঘেরাটোপ থেকে গুরমিত রাম রহিম সিংকে ভাগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। এক সপ্তাহ আগে থেকে সেইমতো পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন বলে দাবি হরিয়ানা পুলিশের।

১৫ বছর আগের জোড়া ধর্ষণ মামলায় ২৫ অগাস্ট পাঁচকুলার সিবিআই আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন গুরুমিত রাম রহিম। ২৮ অগাস্ট ২০ বছরের হাজতবাস হয় তার। তবে বিপদ নাকি ঢের আগেই টের পেয়েছিলেন তার পালিতা কন্যা হানিপ্রীত ইনসান। পুলিশসূত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

জানা গেছে, হানিপ্রীতিই আসল ষড়যন্ত্রকারী। মামলার শুনানি চলাকালীন, ১৭ অগাস্ট সিরসায় ডেরা সাচা সওদার সদর দফতরে জরুরি বৈঠক করেন তিনি। রাম রহিমের দুই ঘনিষ্ঠ অনুচর, ব্যক্তিগত সচিব রাকেশ কুমার আরোরা এবং ডেরার মুখ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা প্রীতম হাজির ছিলেন সেখানে। ভক্তদের তাতিয়ে ধর্ষক বাবাকে নিয়ে চম্পট দেয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। পরে সিরসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে তদন্তকারী দল সিট। পাঁচকুলার পুলিশ কমিশনার এএস চাওলা এ খবর নিশ্চিত করেছেন ।

তিনি জানিয়েছেন, ‘শুনানির এক সপ্তাহ আগে ডেরায় জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানেই বিক্ষোভ ও হিংসা ছড়ানোর যাবতীয় ষড়যন্ত্র কষা হয়। এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। হানিপ্রীতের থেকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি আমরা। তবে এখনই সেগুলি প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন বটে। তবে হাল ছারছি না আমরা। ওকে জিজ্ঞাসাবাদ চলবে।’

বুধবার হানিপ্রীতকে পাঁচকুলা আদালতে তোলা হয়েছিল। ছয় দিনের পুলিশি হেপাজত হয়েছে তার। জিজ্ঞাসাবাদ জারি রয়েছে। রাম রহিম জেলে যাওয়ার পর ৩৮ দিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। কখন, কোথায় ছিলেন তা জানতে তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময় : ১২৫৯ ঘণ্টা, ০৫ অক্টোবর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ