ভারতে সন্তানের লিঙ্গ জানতে গর্ভবতী স্ত্রীর পেট কাটলেন স্বামী!

ভারতের উত্তরপ্রদেশের বারেলির এক গর্ভবতী নারী আবারও সাক্ষী হলো এক নৃশংসতার। ওই নারীর পেট কেটে সন্তানের লিঙ্গ জানার চেষ্টা করেছে তার স্বামী।

অভিযুক্ত পান্নালালের পরপর পাঁচটি মেয়ে হয়েছিল। তাই ষষ্ঠবার স্ত্রী অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ার পরে গর্ভস্থ সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে পারেনি সে। শেষমেষ কেনা ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর পেট কেটে দেখার চেষ্টা করে গর্ভস্থ সন্তান ছেলে না মেয়ে। এই পাশবিক ঘটনার পরে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পান্নালালকে। এদিকে তার স্ত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

বরেলির সিভিল লাইন পুলিশ স্টেশন এলাকার নেকপুরে স্ত্রী ও পাঁচ মেয়েকে নিয়ে থাকে পান্নালাল। শনিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীর পেট কেটে পান্নালাল দেখার চেষ্টা করে যে সন্তান আসতে চলেছে তা ছেলে না মেয়ে। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন পান্নালালের স্ত্রী।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই নারীর চিৎকারে সেখানে এসে উপস্থিত হন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনা দেখে শিউড়ে ওঠেন তারা। সঙ্গে সঙ্গে তারা ওই নারীকে নিয়ে যান স্থানীয় হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে বারেলী হাসপাতালে পাঠানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানে ভর্তি রয়েছেন তিনি।

খবর পেয়েই হাসপাতালে যান ওই নারীর পরিবারের লোকেরা। তারা অভিযোগ করেন, পরপর পাঁচ মেয়ে হওয়ার পর স্ত্রীর সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করত পান্নালাল। উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা প্রবীণ সিং চৌহান জানিয়েছেন, এই ঘটনার পরে পান্নালালের নামে একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুধুই কি সন্তানের লিঙ্গ জানার চেষ্টা, নাকি এই কাজের পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল পান্নালালের তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ওই যুবতী ৬ থেকে ৭ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা বলে জানা গিয়েছে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন তিনি।