সুশান্ত হত্যাঃ মাদক মামলায় জড়িত দীপিকা

ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা সুশান্ত হত্যা ঘটনার সাথে দিন দিন যোগ হচ্ছে নতুন নতুন ঘটনা। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর মাদক মামলায় এবার বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনকে ডেকে পাঠাতে পারে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। মাদক-যোগে এনসিবি এরই মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের পর সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী এবং তার ভাই শৌভিককে গ্রেপ্তার করেছে। সুশান্তের ঘটনায় ডাক পড়েছে সারা আলি খান এবং শ্রদ্ধা কপুরেরও। দু’জনেই কঙ্গনা রানাউত বর্ণিত ‘স্টার কিড’।

দীপিকার নাম এসেছে করিশ্মা নামের এক জনের সঙ্গে তার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সূত্রে। তাকে বুধবার এনসিবি ডেকে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। কারিশ্মার নাম মিলেছে সুশান্তের ঘনিষ্ঠ জয়া সাহার সূত্রে। যাকে সোমবার জেরা করেছে এনসিবি। মঙ্গলবারও জেরা করার কথা রয়েছে।

তালিকায় দীপিকার নাম এসে যাওয়া সুশান্ত মৃত্যু ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। যদিও এ নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি দীপিকা।

এদিকে করিশ্মা জাতীয় পুরস্কার জয়ী প্রযোজক মধু মন্টেনার ট্যালেন্ট হান্ট সংস্থায় কাজ করেন। যে সূত্রে মন্টেনাকেও ডেকে পাঠাবে এনসিবি। সম্প্রতি কয়েক জন বলি তারকার হোয়াটস্‌অ্যাপ চ্যাট এনসিবির হাতে আসে।সেখানে ‘ডি’ এবং ‘কে’ আদ্যাক্ষরের দু’টি নামের কথা জানা যায়। মাদক প্রসঙ্গে তাদের মধ্যে একাধিক বার কথা চালাচালি হয়েছে বলে দাবি করে এনসিবি। এর পরেই শোরগোল পড়ে। কে এই ‘ডি’? ‘কে’ই বা কে? বলিউডের একাংশের দাবি, ‘ডি’ আসলে দীপিকা পাড়ুকোন। আর ‘কে’ হচ্ছেন করিশ্মা।

করিশ্মা কাজ করেন ‘কওয়ান ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি’তে। সেই সূত্রেই তার দীপিকার সঙ্গে কথা হত। কারণ, মন্টেনার ওই সংস্থায় দীপিকার ম্যানেজার ছিলেন করিশ্মা। ঘটনাচক্রে, মন্টেনার একটা টলিউড যোগও আছে। তবে তার সঙ্গে মাদকের কোনও যোগ নেই।

মন্টেনা অন্তত ২৫টি ছবির প্রযোজক। যার মধ্যে আছে ‘গজনি’, ‘সুপার থার্টি’, ‘কুইন’, ‘উড়তা পঞ্জাব’-এর মতো ছবি। ঘটনাচক্রে, ‘উড়তা পঞ্জাব’-এর কাহিনি কিন্তু মাদককে কেন্দ্র করেই। শোনা যাচ্ছে, মন্টেনাকেও ডেকে পাঠাতে পারে এনসিবি।

অন্যদিকে দীপিকাকে ডেকে পাঠানোর সম্ভাবনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই ফের সরব হয়েছেন কঙ্গনা। সোমবার রাতে তিনি টুইট করেছেন, ‘দীর্ঘ মাদকাসক্তি অবসাদের কারণ। সমাজের তথাকথিত উচ্চ সম্প্রদায়ের তারকা-সন্তানরা, যারা নিজেদের সেরা ভাবে, যাদের বেড়ে ওঠা ভাল পরিবেশে, তারাই ম্যানেজারের কাছে জানতে চায়, মাল আছে কি?’

সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর বলিউড তারকাদের মধ্যে নিজের অবসাদ নিয়ে প্রথম মুখ খোলেন দীপিকা। তখন তিনি লিখেছিলেন, ‘রিপিট আফটার মি: ডিপ্রেশন ইজ ট্রিটেবল’। অর্থাৎ, অবসাদের চিকিৎসা হয়। এর জবাবে কঙ্গনা এতদিন পর তার টুইটে লিখেছেন রিপিট আফটার মি: দীর্ঘ মাদকাসক্তি অবসাদের কারণ।