জীবিত করোনা আক্রান্ত রোগীকে মৃত ঘোষণা!

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত জীবিত এক রোগীকে মৃত বলে ঘোষণার অভিযোগ উঠেছে হাওড়ার এক সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র ভারতের উত্তর হাওড়ার ঘুসুড়ির টি এল জায়সবাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনেছেন ওই রোগীর স্বজনরা।

দেশটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। মৃত্যুতে প্রতিদিনই রেকর্ড গড়ছে ভারত। দেশটির হাসপাতালগুলোর অবস্থা ভয়াবহ। বেড পাচ্ছেন না রোগীরা। অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যাচ্ছেন অনেকেই।

সম্প্রতি নিউমোনিয়াসহ অন্যান্য সমস্যা নিয়ে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন জগৎবল্লভপুরের হাটালের বাসিন্দা ৬৫ বছরের ফেলি মান্না। তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাকে ঘুসুড়ির ওই কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

রোগীর আত্মীয় সৌমেন মাঝি বলেন, রোববার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতাল থেকে ফোনে বলা হয়, ফেলি মারা গেছেন। সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকালে তারা দেহ শনাক্তকরণের পর করোনাবিধি মেনে সৎকার করার কথা বলেন তারা। সোমবার সকালে হাসপাতালে পৌঁছলে মর্গে এক নারীর মৃতদেহ দেখান হাসপাতালের কর্মীরা। তা দেখে ওই রোগীর পরিবারের লোকজন আঁতকে ওঠেন। ওই মরদেহ ফেলির নয় বলে দাবি করেন তারা।

এরপর শুরু হয় টানাপড়েন। পরে জানা যায়, ফেলি মারা যাননি। তিনি জীবিত আছেন। হাসপাতালের বিছানায় তাকে অক্সিজেনসহ দেখা যায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল স্বীকার করেছে।

ফেলির আত্মীয় স্বপ্না মান্না তীব্র ক্ষোভ প্ৰকাশ করে বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালের এই গাফিলতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’ হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

তবে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ভবানী দাসের ভাষ্য, ‘কোভিড রোগীদের চিকিৎসা ঠিকভাবেই করা হচ্ছে। তবে ওই রোগীর অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। একটা ভুল হয়েছে। তাকে মৃত হিসেবে ঘোষণা করার আগে আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। পুরো বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’